লকডাউনের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ল, ভ্যাকসিন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে মহারাষ্ট্রে বাড়ানো হল লকডাউন। আরও ১৫ দিন লকডাউনের মেয়াদ বাড়াল উদ্ধব ঠাকরে সরকার। একই সঙ্গে ১৮ বছরের উর্ধ্বে যাঁরা তাঁদের করোনা টিকাকরণ বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভা। করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে টিকাকরণে বেশ কিছুদিন দেরি হবে বলে জানানো হয়েছে কারণ মহারাষ্ট্র সরকারের হাতে এখনও পর্যাপ্ত টীকা নেই।

শেষ হচ্ছে না লকডাউন

১ মে লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছুতেই বাগে আসছে না বাণিজ্য নগরীর করোনা সংক্রমণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও ১৫ দিন লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। আগেই অবশ্য তিনি জানিয়েছিলেন প্রথম দফার লকডাউনের পর পরিস্থিতি খতিয়েদেখে পরবর্তী দফার লকডাউন নিয়ে ভাবা হবে। পরিস্থিতি এখনও সামলে ওঠা যায়নি। সেকারণেই আরও ১৫ দিন মহারাষ্ট্রবাসীকে কড়া নিয়মের মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভ্যাকসিন সিদ্ধান্ত

আজ থেকেই গোটা দেশে েকা-উইনঅ্যাপের মাধ্যমে ১৮ বছর উর্ধ্বে বয়সের জন্য করোনা টীকাকরণের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। প্রথম ঘণটাতেই ক্র্যাশ করে গিয়েছে অ্যাপ। এদিকে একাধিক রাজ্য আগেই এই নতুন ধাপের বয়সের টীকাকরণ বিনামূল্যে করার কথা ঘোষণা করেছে। কর্নাটক, ওড়িশা সরকার বিনামূল্যে করোনা টীকা দেবে বলে জানিয়েছে।এবার সেই পথে হেঁটে মহারাষ্ট্র সরকারও বিনামূল্যে টীকাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে মিলেছে সিলমোহর।

ভ্যাকসিন সংকট

করোনা টীকাকরণ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেও এখনই সেটা কর্যকর করা হবে না বলে জানিয়েছে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। করোনা টীকা পর্যাপ্ত নেই রাজ্য।ভ্যাকসিন সংকট না কাটলে তা কার্যকর করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। কাজেইএই ভ্যাকসিন কর্মসূচি কার্যকর করতে দেরি হবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। প্রথমে মহারাষ্ট্র সরকারই করোনা টীকার অভাবের কথা কেন্দ্রের কাছে জানিয়েছিল। তারপর থেকে এখনও টীকার ঘাটতি মেটেনি রাজ্যে।

সংক্রমণে শীর্ষে মহারাষ্ট্র

করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে মহারাষ্ট্রেই। দিনে ৬৬ থেকে ৬৭ হাজার জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন এই রাজ্যে। শুধু মুম্বইয়ে প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। তার সঙ্গে রয়েছে দৈনিক মৃত্যু। সেকারণেই মহারাষ্ট্র সরকার লকডাউনের পথে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অক্সিজেন না পেয়ে মরছে মানুষ,তার ক্ষতিপূরণ কে করবে?‌ কেজরি সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব দিল্লি হাইকোর্টের