নয়া দিল্লি: সাম্প্রতিক সময়ে গোটা দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হু-হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। দেশে ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞমহলে। বর্তমান সময়ে আগের তুলনায় অনেকটায় ক্ষমতা বাড়িয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস, যার ফলে প্রায় ১০ জনের পরীক্ষা করালে ৮ জন সংক্রমিত হবার তথ্য সামনে উঠে আসছে। সেই কারণে কোভিড-১৯ পরীক্ষা পরিমাণ আরও বাড়াতে এবার এগিয়ে আসতে দেখা গেল দেশের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)কে।
জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) সোমবার ঘোষণা করেছে আগামী ২ দিন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে একটি কোভিড-১৯ পরীক্ষা কেন্দ্র আয়োজন করছে। অন্যদিকে দিল্লি সরকারের কার্ফু জারি করাতে আগামী ২৬ এপ্রিল সোমবার রাত ১০ টা থেকে ৩ মে সোমবার সকাল ৫ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে একটি কারফিউ কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয় জেওনইউয়ের তরফে। কার্ফুর কারণে মঙ্গল এবং বুধবার এই কোভিড-১৯ পরীক্ষা আয়োজন করছে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ।
একটি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে, এই কার্ফু সময়ে বৈধ আই কার্ড থাকলে জরুরি সেবা, চিকিত্সা জরুরি অবস্থা এবং পণ্য সরবরাহে নিযুক্ত ব্যক্তিদের চলাচলে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না। পাশাপাশি বৈধ্য টিকিট দিয়ে বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, আইএসবিটি থেকে আসা, যাওয়া ব্যক্তিদের অনুমতি মিলবে।
আরও বলা হয়েছে, এই সময়ে সচল থাকবে খাবার, মুদি, ফল এবং শাকসবজি, দুগ্ধ ও দুধের বুথ, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং এটিএমগুলির পরিষেবা। এছাড়াও চালু রাখা হবে কুরিয়ার সার্ভিস, বৈদ্যুতিনবিদ, প্লামবার, বইয়ের দোকান এবং বৈদ্যুতিক পাখার দোকানগুলির মতো স্ব-কর্মসংস্থানযুক্ত পরিষেবাগুলি। তবে অন্যদিকে আবার বন্ধ রাখা হবে অন্য দোকান এবং স্কুলের ক্যান্টিনগুলিকে।
বিশ্ববিদ্যালয় তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি সরকারের কার্ফু জারি করার ফলে বন্ধ রাখা হবে ডক্টর বি আর আম্মেদকর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি। জেএনইউ এর তরফে, জরুরি কাজে যাতায়াত ছাড়া ক্যাম্পাসের বাসিন্দাদের কার্ফুর সময়কালে ক্যাম্পাসে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের মূল দ্বারগুলি বন্ধ রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
আগামী মঙ্গল এবং বুধবার জেএনইউ আয়োজন করছে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে রেলওয়ে রিজার্ভিশন সেন্টারের পাশে ফ্যাকাল্টি ক্লাবে হবে এই কোভিড-১৯ পরীক্ষা কেন্দ্র। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত কেন্দ্রগুলিতে মানুষ কোভিড পরীক্ষা করাতে পারবেন, যার উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছেন দিল্লির জেলাশাসক।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.