রাজ্যে নতুন কেস হ্রাস পেলেও ৩ লক্ষের বেশি সক্রিয় করোনা কেস উদ্বেগ বাড়িয়েছে যোগী সরকারের

দেশজুড়ে কোভিড–১৯ সংক্রমণ যখন দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে, সেই সময় উত্তরপ্রদেশ সরকার সোমবার দাবি করেছে যে রাজ্যে নতুন কোভিড–১৯ কেস হ্রাস পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৩৩,৫৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং রাজ্যে করোনা সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষের বেশি।

রাজ্যে হ্রাস পেয়েছে কোভিড পজিটিভ সংখ্যা

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‌গত তিনদিনে, রাজ্যে কোভিড পজিটিভ কেস অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। রাজ্যে বেড, অক্সিজেন এবং জীবনদায়ী ওষুধের অভাবও নেই।' স্বাস্থ্য বিভাগের বুলেটিন অনুযায়ী, ‘‌গত চার বছরে আমরা রাজ্যে ৩২টি অক্সিজেন প্লান্ট গড়ে তুলেছি। বর্তমানে, আমাদের ৭২টি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার রাজ্যের প্রত্যেক জেলার হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করেছে।'‌ লখনউ ও বারাণসীর মতো করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু রাজ্যে সক্রিয় কেসের সংখ্যাও হ্রাস পেতে শুরু করেছে। ‌

লখনউ–বারাণসীতে সক্রিয় কেস হ্রাস

রবিবার লখনউতে সক্রিয় করোনা কেসের সংখ্যা ছিল ৫২,০৬৮টি, যা সোমবার হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০,৬২৭টি। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬,০৩৫ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪,৫৬৬ জন। বারাণসীতেও রবিবার সক্রিয় কেস ১৭,৩২১ থেকে সোমবার তা হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১৬,০৮৩। প্রয়াগরাজেও সক্রিয় করোনা কেস সামান্য একটু কমলেও, কানপুর নগর, মিরুট, গোরক্ষপুর, বরেলিতে সক্রিয় করোনা কেসের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

২৬,৭৩০ জন কোভিড রোগী সুস্থ

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২৬,৭৩০ জন কোভিড রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সক্রিয় করোনা কেসের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩,০৪,১৯৯-তে, যার মধ্যে ২.‌৫০ লক্ষ মানুষ বাড়িতে আইসোলেট হয়ে রয়েছেন। অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (‌তথ্য)‌ নবনীত সেহগাল বলেন, ‘‌আক্রান্তের হার সামান্য হ্রাস পেয়েছে, যা ভালো ইঙ্গিত। পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে বাড়িতে আইসোলেট থাকা আক্রান্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এবং তাঁদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করতে। অক্সিজেন সরবরাহ এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। যে সব হাসপাতাল অক্সিজেনের ঘাটনি রয়েছে বলে গুজব রটাচ্ছিল তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।'‌

তরল অক্সিজেন আনা হচ্ছে অন্য জায়গা থেকে

তরল অক্সিজেন অন্য উৎস থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। রাজ্য সরকার অক্সিজেন সিলিন্ডার তৈরির জন্য কানপুরের একটি বন্ধ কারখানা ভারত পাম্পস এবং কমপ্রেসার্স লিমিটেডকে পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্র পরিচালিত ওই কারখানা ৩ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রস্তুত করতে পারবে বলে জানিয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য রিলায়েন্স ও টাটা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তরল অক্সিজেন সরবরাহ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

গুজবে কান নয়

সেহগল জানিয়েছেন যে বেডের সংখ্যা যখন বাড়ানো হয়েছে বিশেষ করে কানপুর, বারাণসী, প্রয়াগরাজের মতো বড় শহরগুলিতে, তখন গুজব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্যবাসীকে। তিনি বলেন, ‘‌কোভিড রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন এ ধরনের গুজবে যেন কেউ পা না দেন। যাঁদের সত্যিকারের অক্সিজেনের প্রয়োজন রয়েছে, এমনকী হাসপাতালেরও, তারা স্থানীয় জেলার সিএমওর সঙ্গে যোগাযোগ করবে।'‌

মু্ম্বইয়ে কমছে আক্রান্তের সংখ্যা, দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফাঁড়া কাটিয়ে নতুন আশার আলো বাণিজ্য নগরীতে?

৫০ জন সরকারি কর্মকর্তা কোভিড আক্রান্ত

অন্যদিকে গাজিয়াবাদের সিএমও, এসপি সহ ৫০ জন সরকারি আধিকারিকের কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে। জেলা শাসক অজয় শঙ্কর পাণ্ডে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার একদিন পরই সিএমও এবং পুলিশ প্রধান সহ গাজিয়াবাদ প্রশাসনের ৫০ জন আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হন। জেলার ম্যালেরিয়া অফিসার জ্ঞানেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন যে চিকিৎসক ও মেডিক্যাল কর্মী সহ শীর্ষ আধিকারিকরাও করোনায় আক্রান্ত। সকলেই বাড়িতে আইসোলেট রয়েছেন।

Know all about
যোগী আদিত্যনাথ