অভাব মেটাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৈরি হচ্ছে ৭টি অক্সিজেন প্লান্ট, পাইপলাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন পাঠাচ্ছে রাজ্য

গোটা দেশজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। অক্সিজেনের অভাবে একের পর এক মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। এর সঙ্গেই হাসপাতালে বেডের অভাব, অ্যাম্বুলেন্সের অভাব তো রয়েছেই। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে কার্যত ভয়ঙ্কর ছবি গোটা ভারতজুড়ে। কার্যত সংক্রমণের নিরিখে একই অবস্থা বাংলাতেও। ইতিমধ্যে ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার। যদিও এই অবস্থায় সতর্ক রাজ্য সরকার। বিশেষ করে অক্সিজেন নিয়ে সতর্ক প্রশাসন।

সাতটি অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত

হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের সাপ্লাই ঠিক রাখতে উদ্যোগী নবান্ন। যদিও ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বাংলাতে অক্সিজেনের সাপ্লাই ঠিক আছে। অন্যদিকে, করোনার সংক্রমণ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় মোট সাতটি অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর, ক্যানিং, জয়নগর ও ডায়মন্ড হারবার -সহ বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে জেলায় অক্সিজেনের অভাব মিটে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

অক্সিজেন প্লান্টকে চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের উপযোগী

২৪ পরগনার বজবজের শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেন প্লান্টকে চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের উপযোগী তৈরির পরিকল্পনাও করছে সরকার। এছাড়াও মহেশতলার আরও একটি অক্সিজেন প্লান্টের কার্যক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, "ইতিমধ্যেই এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট বানানোর প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। মাস দেড়েকের মধ্যে সমস্ত প্লান্ট থেকে অক্সিজেন উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, করোনা আক্রান্ত মানুষেরা যাতে চিকিৎসা অভাবে মারা না যান সেদিকে প্রশাসন লক্ষ্য রাখছে। তাই অক্সিজেনের কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে সেবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"

পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন

পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে একাধিক সরকারি হাসপাতালে এভাবে অক্সিজেন যাচ্ছে।

অক্সিজেন নিয়ে রাজ্যের নতুন নির্দেশিকা

এবার অক্সিজেনের অপচয় রুখতে নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। তবে এই নির্দেশিকা মূলত চিকিৎসকদের জন্য। সেখানে বলা হয়েছে, গুরুত্ব বুঝেই রোগীকে অক্সিজেন দিতে হবে। কেননা স্বাস্থ্যদফতর মনে করছে, হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমগুলিতে এমন অনেক রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে, যাঁদের অক্সিজেন না দিলেও চলে। পাশাপাশি যদি রোগীকে পরিমাণ মতো অক্সিজেন দেওয়া না হয়, তাহলে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে পারে। পাশাপাশি কোনও সময় রোগীকে কতটা অক্সিজেন দিতে হবে, তার পরিমাণও উল্লেখ করা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।

রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই

রাজ্যে এই মুহূর্তে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবের বৈঠকে এমনটাই উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে রাজ্যে প্রতিদিন রোগীদের জন্য ২২৩ মেট্রিকটন অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, সেখানে রাজ্যে অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে ৪৯৭ মেট্রিকটন। পাশাপাশি রাজ্য সরকার খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যে ৯৩ টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চেয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ ভাঙড়ে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে মৃত্যু করোনা আক্রান্তের