২ রা মে বিজয় মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি, করোনা পরিস্থিতিতে নয়া নির্দেশ কমিশনের

২৬ এপ্রিল মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফে ভারতের নির্বাচন কমিশনের প্রতি তীব্র ভর্ৎসনা উঠে আসে। ভোটের জেরে করোনা পরিস্থিতি আরও গুরু গম্ভীর হলে ভোট গণনা স্থগিত করার বার্তাও আসে আদালতের তরফে। এরপর রাত পোহাতেই নির্বাচন কমিশন ২ রা মে ভোট গণনার দিন বিজয় মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল।

মাদ্রাজ হাইকোর্ট যা জানিয়েছে

মাদ্রাজ হাইকোর্ট গতকালই নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে জানায়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য একমাত্র দায়ী নির্বাচন কমিশন। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ও সেন্থিকুমার রামমূর্তির বেঞ্চ জানিয়েছে, করোনার সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা উচিত। তারপরই এদিন কমিশনের তরফে আসে বড় বার্তা।

নির্দেশে কী জানানো হয়েছে?

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশ দিয়েছে,তাতে বলা হয়েছে, তামিলনাড়ু, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, পুদুচেরি, অসমে ভোটের গণনা রয়েছে ২ রা মে। তবে করোনা পরিস্থিতির জেরে সেই দিন কোনও রকমের বিজয় মিছিল করা যাবে না।

মাদ্রাজ হাইকোর্ট ও কমিশন

করোনার নয়া স্রোতের জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার ফলে মাদ্রাজ হাইকোর্ট সাফ জানায় যে ২ রা মে কোভিড বিধি মেনে গণনার নীল নক্সা তৈরি করতে হবে কমিশনকে। না হলে ভোট গণনা বন্ধ করা হবে। তারপরই আসে এই নির্দেশ।

হাইকোর্টের ধমক ও ২ রা মে

প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে তৃণমূল সহ একাধিক রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে কাছে বারবার অনুরোধ করেছে যাতে ভোটের বাকি দফাগুলি একসঙ্গে করা যায়। যদিও তাতে নির্বাচন কমিশন সাফ জানায় যে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে পূর্ব পরিকল্পিত দপা অনুযায়ীই ভোট হবে। ফলে অষ্টম দফা পর্যন্তই গড়াতে চলেছে বাংলার ভোট। এদিকে, ২০২১ এ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে যে ভোট হয়েছে,সেখানে এত বেশি দফার ভোট দেখা যায়নি। সেই জায়গা থেকে প্রশ্ন তোলেন মমতা। এরপরই আসে মাদ্রাজ হাইকোর্টের তাবড় বার্তা। যারপরই দেখা যায় ২ রা মে ঘিরে কমিশন বড়সড় পদক্ষেপ নিচ্ছে।