স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: আবারও ভোটের আগে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে শুরু করে ৩০ তারিখ সকাল ৭টা পর্যন্ত তাঁকে নজরবন্দি করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বীরভূমের ১১ আসনে ভোট। তার আগেই কড়া পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগে থেকেই বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট ঘোষণার পর থেকে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। অনুব্রত মণ্ডলের রেকর্ড খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত। তবে কমিশন ‘নজরবন্দি’ করতে পারে বলে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বোলপুরে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘কেষ্টর উপর ওদের অনেক রাগ। প্রতি বার নির্বাচনের আগে কেষ্টকে নজরবন্দি করে রেখে দিচ্ছে। আমি বলছি, কেষ্ট, এ বার যদি এরকম কিছু করে তো তুমি কোর্টে যাবে, প্রোটেকশন নেবে। এ ভাবে নজরবন্দি করে রাখা যায় না।’’দিদির নির্দেশ মেনে এবার অনুব্রত আদালতে যায় কিনা এখন সেটাই দেখার৷

আরও পড়ুন: ‘জাত গোখরো’কেও কি এবার করোনার ‘ছোবল’, নেট পাড়ায় গুঞ্জন

২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য অনুব্রতকে নজরবন্দি করেছিল কমিশন। এমনকি তাঁর মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কমিশনের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘ভোটের দিন বাড়ি থেকে অফিসে যাব, আর যা যা করি সবই করব। অসুবিধার কিছুই নেই। তবু খেলা হবে। ভয়ঙ্কর খেলা হবে।’

ঘটনাচক্রে এদিনই কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের কার্যালয়ে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রতবাবু। কেননা সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু এদিন অনুব্রতবাবু সিবিআইকে জানিয়ে দেন, তাঁর শরীর ভাল নেই। তার মধ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত। তাই এখনই সিবিআই দফতরে হাজির দেওয়া সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। কয়েকদিন পর তিনি নিজাম প্যালেসে যাবেন৷ উল্লেখ্য, এক্ষেত্রেও ভোটের আগে অনুব্রতকে সিবিআই দফতরে যেতে বারণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.