বিপাকে ফেলেছে করোনার হানাদারি, অভিযুক্তদের হাজিরা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত সিবিআই-ইডির

কোনও প্রভাবশালী নেতা নয়, কিংবা নীবর মোদীর মতো প্রতারক নয়, করোনা (coronavirus) পরিস্থিতি বিপাকে পেলে দিয়েছে দেশের দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (cbi) এবং ইডিকে (ed)। একের পর এক আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সল্টলেকে হাজিরার জন্য আপাতত আর কোনও নোটিশ দেওয়া হবে না। অন্যদিকে, যাঁদের ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে, তাঁদেরও হাজিরার দিন পিছনো হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।

একের পর এক আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত

সিবিআই ও ইডির একের পর এক আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত। কর্মী ও আধিকারিকদের অনেকেই ওয়ার্কফ্রম হোম করছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কলকাতায় সিবিআই-এর অন্তত ১৬ জন আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত। সেই পরিস্থিতিতে ৫০ শতাংশ হাজিরা দিয়ে অফিস চালানো হচ্ছে। ইডিতেও একই অবস্থা।

জিজ্ঞাসাবাদ ঝুঁকির

একদিকে যখন একের পর এক আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত, সেই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকির বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। অন্যদিকে, অভিযুক্তদের মধ্যে যাঁদেরকে ডাকা হচ্ছে, তাঁরা উপসর্গহীন সংক্রমক কিনা বোঝা যাচ্ছে না। অন্যদিকে অনেক পরিবারেই কেউ না কেউ করোনায় আক্রান্ত। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তবে হাজিরার জন্য নোটিশ পাঠানো না হলেও তদন্ত চলবে বলে জানা গিয়েছে।

নিজাম প্যালেসের সিদ্ধান্ত জানা যায়নি

সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের কথা জানা গেলেও নিজাম প্যালেসের কথা জানা যায়নি। এই নিজাম প্যালেসেই হাজিরার জন্য সিবিআই সমন পাঠিয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে অনুব্রত মণ্ডল পাল্টা বলেছেন, শরীর খারাপের সঙ্গে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা। এব্যাপারের সিবিআই-এর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

দুই জায়গায় চলছে দুই ধরনের মামলা

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিজাম প্যালেসে কয়লা ও গরু পাচার সংক্রান্ত মামলাগুলির তদন্ত হচ্ছে। অন্যদিকে সিজিও কমপ্লেক্সে চিটফান্ড মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। দুই জায়গায় তদন্তকারী অফিসাররাও আলাদা।

৬ অবিজেপি রাজ্যের সঙ্গে হাত মেলালো অসমও, সময়মতো টিকাকরণের তৃতীয়দফার শুরু নিয়ে প্রশ্ন