কেন্দ্রের নির্দেশিকা
মহারাষ্ট্র সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্র নির্দেশিকা দিয়েছে, রাজ্যগুলিকে এবার থেকে নিজে থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে হবে। পাশাপাশি ৪৪ বছর পর্যন্ত ভ্যাকসিন দিতে ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত স্টক মজুত রাখতে হবে।
পাঁচ রাজ্যের সিদ্ধান্ত
রবিবার ছয় রাজ্যে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব, কেরল সিদ্ধান্ত নেয়, তারা এই পর্যায়ের টিকাকরণে অংশ নেবে না।
একই সিদ্ধান্ত বিজেপি শাসিত অসমেরও
অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সোমবার গুয়াহাটিতে জানিয়েছেন, মে-মাসের প্রথম সপ্তাহের রাজ্যে ১৮-৪৫ বছর বয়সীদের জন্য টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু নিয়ে তিনি দ্বিধাগ্রহস্ত। কেননা ২ মে অসমের ভোটের ফল ঘোষণা। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের তৃতীয়দফায় টাকাও দিতে হবে। সেই করাণেই মের প্রথম সপ্তাহে অসমে টিকাকরণের কাজ শুরু করা যাবে না বলেও মনে করছেন তিনি। তবে পোর্টালে নাম রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। কেননা রাজ্য সরকার ভারত বায়োটেক এবং সিরাম ইনস্টিটিউটকে ভ্যাকসিনের জন্য অর্ডার দিয়েছে। তারা যবে ভ্যাকসিন পাঠাবে, তারপরেই ভ্যাকসিনেশনের কাজ শুরু করা যাবে। পাশাপাশি তিনি সোমবার কেন্দ্রের দেওয়া নির্দেশিকার কথা উল্লেখ করেছেন। যেখানে কোন রাজ্য কত ভ্যাকসিন পেতে পারে তার উল্লেখ করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
মহারাষ্ট্র সরকারও সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেককে চিঠি দিয়েছে। তবে সরকারিভাবে কোনও উত্তর পায়নি। তবে মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে ডক্টর রেড্ডিজ ল্যাব-সহ তিনটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার যোগাযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমান স্টক যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। তবে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, কোন রাজ্যে তারা কত ভ্যাকসিন পাঠাবে।
তবে ডক্টর রেড্ডিজ ল্যাব এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিনের দাম না জানানোয় তাদেরকে কোনও চিঠি পাঠায়নি মহারাষ্ট্র সরকার। তবে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে মহারাষ্ট্র সরকার গ্লোবাল টেন্ডার ডাকবে বলেও জানা গিয়েছে।
ন্যাশনাল হেলথ মিশনের মহারাষ্ট্রের ডিরেক্টর এন রামস্বামী জানিয়েছএন, ভ্যাকসিন পাওয়াটাই সমস্যা। সরবরাহ হলেই তারা ১৮ বছরের ওপরে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে শুরু করবেন।