সরকারের আশ্বাসের পরে এবার নামল স্বাস্থ্য দফতর, অক্সিজেন নিয়ে জারি নতুন নির্দেশিকা

এই রাজ্যেও অক্সিজেনের (oxygen) জন্য হাহাকার। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই রাজ্যের ক্ষেত্রে তা কৃত্রিম। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের অপচয় রুখতে নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর (health dept)। ইতিমধ্যেই তা রাজ্যের সব হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছে।

করোনা পজিটিভ হলেই অক্সিজেন

দিন তিনেক আগে রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনই যথেষ্ট নয়। লাগবে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট। অক্সিজেনের প্রয়োজন না থাকলে হাসপাতালেও চিকিৎসা নয়। সেফ হোম কিংবা বাড়িতেই চিকিৎসা চালানো যাবে।

অক্সিজেন নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকা

অন্যদিকে প্রথমে দেশে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক করতে নটি শিল্পকে বাদ দিয়ে শিল্পে অক্সিজেনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্র। পরে রবিবার নতুন নির্দেশিকা জারি করে সব শিল্পেই অক্সিজেনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র। একমাত্র স্বাস্থ্য পরিষেবাতেই অক্সিজেন ব্যবহারের কথা বলা হয়।

রাজ্যে নতুন কেস হ্রাস পেলেও ৩ লক্ষের বেশি সক্রিয় করোনা কেস উদ্বেগ বাড়িয়েছে যোগী সরকারের

অক্সিজেন নিয়ে রাজ্যের নতুন নির্দেশিকা

এবার অক্সিজেনের অপচয় রুখতে নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। তবে এই নির্দেশিকা মূলত চিকিৎসকদের জন্য। সেখানে বলা হয়েছে, গুরুত্ব বুঝেই রোগীকে অক্সিজেন দিতে হবে। কেননা স্বাস্থ্যদফতর মনে করছে, হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমগুলিতে এমন অনেক রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে, যাঁদের অক্সিজেন না দিলেও চলে। পাশাপাশি যদি রোগীকে পরিমাণ মতো অক্সিজেন দেওয়া না হয়, তাহলে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে পারে। পাশাপাশি কোনও সময় রোগীকে কতটা অক্সিজেন দিতে হবে, তার পরিমাণও উল্লেখ করা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।

রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই

রাজ্যে এই মুহূর্তে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবের বৈঠকে এমনটাই উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে রাজ্যে প্রতিদিন রোগীদের জন্য ২২৩ মেট্রিকটন অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, সেখানে রাজ্যে অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে ৪৯৭ মেট্রিকটন। পাশাপাশি রাজ্য সরকার খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যে ৯৩ টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চেয়েছে।