বাড়িতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী করণীয়, একনজরে কিছু টিপস

করোনার দ্বিতীয় স্রোতে কার্যত নাজেহাল গোটা দেশ। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীতে ছড়িয়েছে আতঙ্কের রেশ। এই মহামারীর বিষ দংশন থেকে মুক্তির উপায় হিসাবে কঠোর করোনা বিধি , সচেতনতা ও ভ্যাকসিনকে হাতিয়ার করে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে 'ইন্ডিয়া কোভিড এসওএস ডট ওআরজি ' এর তরফে জানানো হয়েছে, কীভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। বাড়িতে থেকে এই কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে কী কী করণীয় , তা দেখে নেওয়া যাক।

‌যদি কোভিড–১৯ উপসর্গ দেখা দেয় তবে কি করণীয়?

কোভিডের উপসর্গ দেখলেই তা ফেলে রাখবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে টেস্ট করিয়ে নিন। প্রশ্ন আসতেই পারে যে সামান্য গলা ব্যথা থেকে অল্প সর্দিতেও কি টেস্ট করানো উচিত? তাহলে জেনে রাখা দরকার করোনার দ্বিতীয় স্রোতে উপসর্গ হিসাবে কোন কোন বিষয়গুলিকে ধরা হচ্ছে । উপসর্গ হিসাবে জ্বর, গলা ব্যাথা, সর্দি,কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা, মাথা ব্যাথা, শরীরে যন্ত্রনা, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া।

উপসর্গ আসলে কী কী করণীয়?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে

অক্সিজেন স্তর পরীক্ষা করতে হবে (‌পালস অক্সিমিটার দিয়ে দিনে ৩-৪ বার)‌। অবশ্যই‌ মাস্ক পরে থাকুন এবং পরিবারের প্রত্যেককে সুরক্ষিত রাখতে সকলকে মাস্ক পরতে বলুন। প্রসঙ্গত, নীতি আয়োগের তরফে আগেই জানানো হয়েছে, বাড়িতে থাকলেও মাস্ক পরুন। এছাড়াও দরজা-জানলা খুলে রাখুন ভেন্টিলেশনের জন্য।

শরীরে অস্বস্তি হলে কী করণীয় ?

অস্বস্তি দেখলে আলাদা থাকুন এবং বিশ্রাম নিন।‌ বারে বারে জল পান করুন। জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল, অ্যাসিটামিনোফেন খান। তবে তা করুন চিকিৎসকের পরামর্শে।

ভারতের করোনা গ্রাফের উর্ধ্বগতি সামান্য থমকে গেল! ২৭ এপ্রিলের রিপোর্টের পরিসংখ্যান একনজরে

অক্সিজেন স্তর সম্পর্কিত তথ্য

যদি আপনার অক্সিজেন লেভেল ৯২ শতাংশ বা তার বেশি থাকে , তাহলে যা অবশ্যই জল বেশি করে পান করুন। জ্বর হলে প্যারাসিটামল বা অ্যাসিটামিনোফেন নেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ জরুরি। পেটের ওপর ভর দিয়ে উল্টো করে শুয়ে থেকে অক্সিজেন লেভেল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে।

যদি অক্সিজেন লেভেল ৯২ শতাংশের নীচে নেমে যায়

অক্সিজেন স্তর ৯২ এর নিচে নামলেই সতর্ক হতে হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে এগিয়ে যেতে হবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে। প্রোন পজিশনে শুয়ে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। হাতের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের বন্দোবস্ত থাকলে, তা নিতে পারেন। অক্সিমিটারের সাহায্যে দিনে ৪ থেকে ৬ বার অক্সিজেনের মাত্রা মাপুন।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বেশ কিছু ওষুধও গ্রহণ করতে পারেন

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডেক্সামেথেসোন ( স্টেরয়েড) ওষুধ ৬ মিলিগ্রাম করে নিতে পারেন। স্বাস্থ্যের অবস্থা বুঝে দিনে একবার করে ৫ থেকে ১০ দিন খাওয়া যেতে পারে। প্রসঙ্গত, ডেক্সামেথেসোন পাওয়া না গেলে নিম্নলিখিত ওষুধ গুলি খেলেও কাজ হবে। এছাড়াও হাইড্রোকোর্টিসন ৫০ মিলিগ্রাম করে দিনে তিনবার খেতে হবে। সময়সীমা ৫ থেকে ১০ দিন । বলা হচ্ছে ,চিকিৎসকের পরামর্শ মতো, মেথিলিপ্রেডনিসোলন ৩২ মিলিগ্রাম করে দিনে একবার খেতে হবে। শরীরে অবস্থা বুঝে ৫ থেকে ১০ দিন নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, প্রিডনিসোলন ৪০ মিলিগ্রাম করে দিনে একবার ৫ থেকে ১০ দিন খাওয়া যেতে পারে। প্রিডনিসোন ৪০ মিলিগ্রাম করে দিনে একবার ৫ থেকে ১০ দিন খেতে হবে । প্রসঙ্গত মনে রাখতে হবে, অক্সিজেন লেভেল ঠিক হয়ে গেলে যে কোনও স্টেরয়েডই ৫ দিনের মাথায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বন্ধ করা যেতে পারে।