গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর তলব
গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই মূল পাণ্ডা এনামূল হক-সহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই জিজ্ঞাসাবাদের সময় অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠে আসে বলে দাবি সিবিআই-এর। সেই কারণেই প্রবলপ্রতাপশালী বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। তাঁকে ২৭ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে হাজিরার জন্য বলা হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপদেশ
সোমবার উত্তর কলকাতায় করা ভার্চুয়াল সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গে তোলেন। সেখানেই তিনি বলেন, ভোট শেষ হওয়ার আগে অনুব্রত মণ্ডল যেন সিবিআই-এর কাছে না যান। সেই উপদেশ তিনি দিয়েছেন। বলেন, স্ট্রেট বলবি, ইলেকশন প্রসিডিওর ওভার হওয়ার পরে যাব। কেননা অনুব্রত মণ্ডল পুরো বীরভূমের দায়িত্বে রয়েছেন। যদিও এর আগে শনিবার বোলপুরে করা সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুযোগ করে বলেছিলেন, প্রতিবার ভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করা হয়। এবার অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করলে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ তিনি দিয়েছিলেন।
অনুব্রত জানালেন কারণ
তবে সিবিআইকে দেওয়া চিঠিতে অনুব্রত মণ্ডল জানালেন অন্য কারণ। সূত্রের খবর অনুযায়ী তিনি বলেছেন, শারীরিক অসুবিধার কথা। রয়েছে কিডনির সমস্যা। পাশাপাশি রয়েছে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়। তিনি আইন মেনে চলেন। তাই এই পরিস্থিতিতে তাঁকে দুই সপ্তাহের সময় দেওয়া হোক। যদি তাঁর অনুগামীদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, দাদার বাড়ির অনেকেই করোনা আক্রান্ত হওয়ায় হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি।
এখনও জানা যায়নি সিবিআই-এর পরবর্তী পদক্ষেপ
অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইকে চিঠি পাঠানোর পরে, সিবিআই-এর পদক্ষেপ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। এক্ষেত্রে সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলের আবেদন মঞ্জুর করতে পারে। আবার নতুন করে নোটিশও ধরাতে পারে। তবে নির্বাচনের মুখে অনুব্রত মণ্ডলকে বিরক্ত করা নিয়ে তৃণমূলের অনেকেই রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছেন। শাসকদলের অভিযোগ, তাদেরকে চাপে রাখতেই বিজেপি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে।