চেন্নাই: এ যেন বিদেশি বিপর্যয়! চোট এবং ক্লান্তিকর জৈব বলয়ের জোড়া ফলায় বিদ্ধ রাজস্থান রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজি। সবে পাঁচটি ম্যাচ খেলা হয়েছে চলতি আইপিএলে। আর এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়্যালসের হাতে সর্বসাকুল্যে পড়ে রয়েছে চার বিদেশি। অর্থাৎ, কোনও বিদেশি যদি এখন চোটের আওতায় পড়েন সেক্ষেত্রে সঞ্জু স্যামসন নেতৃত্বাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতে কোনও বিকল্প নেই। এমতাবস্থায় বিদেশি ক্রিকেটার চেয়ে আইপিএলের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে দ্বারস্থ হল রয়্যালস।

শুরুটা হয়েছিল বেন স্টোকসকে দিয়ে। প্রথম ম্যাচেই চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন ইংরেজ অল-রাউন্ডার। রয়্যালসের অবস্থা আরও খারাপ হয় লিয়াম লিভিংস্টোন জৈব বলয়ের ক্লান্তি না নিতে পেরে সরে যাওয়ায়। এরপর খবর আসে অস্ত্রোপচারের পর আর্চারের যা পরিস্থিতি তাতে চলতি আইপিএলে খেলা সম্ভব হবে না ইংরেজ পেসারের। সবশেষে ভারতের সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতি দেখে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অজি পেসার অ্যান্ড্রু টাই। সেদেশে ভারত থেকে ফেরা যাত্রীদের লাল তালিকাভুক্ত করার আগে রবিবারই সিডনি উড়ে গিয়েছেন টাই।

রয়্যালসের হাতে এখন পড়ে থাকা চার বিদেশি জোস বাটলার, ক্রিস মরিস, ডেভিড মিলার এবং মুস্তাফিজুর রহমান। অবস্থা এমন যে মরশুমের মাঝে এখন লোন উইন্ডোর দিকে তাকিয়ে রয়্যালস। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী লিগের ২০তম ম্যাচের পরদিন অর্থাৎ, সোমবার সকালে খুলে গিয়েছে এই উইন্ডো, চলবে ৫৬তম ম্যাচ অবধি। এই সময়ের মধ্যে অন্যান্য দলের সঙ্গে রফা করে লোনে ক্রিকেটার নিতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলো। রাজস্থান রয়্যালসের অনুরোধের বিষয়ে জানাতে গিয়ে কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে।

লোন উইন্ডোর ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে উইন্ডো খোলার আগে অবধি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে দু’টি বা তার কম ম্যাচে খেলা ক্রিকেটারদেরই দলে নেওয়ার সুযোগ পাবে অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেক্ষেত্রে মরশুমের বাকি সময়টার জন্য নতুন দলের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাবেন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার। কিন্তু হোম ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না তারা। এখন দেখার সমস্তদিক পর্যালোচনা করে অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে লোন উইন্ডোতে কোন বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নেয় রয়্যালস।

আপাতত পাঁচ ম্যাচ খেলে ২টি জয় পেয়েছে রয়্যালস ব্রিগেড। গত ম্যাচে নাইটদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে তারা। আপাতত লিগ টেবিলে ৬ নম্বরে সঞ্জু স্যামসনের দল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.