নবান্নে জরুরি বৈঠকে মমতা
প্রতিদিন রাজ্যের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলা জুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। প্রায় ১৬ হাজার ছুঁই ছুঁই রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। রবিবার রাজ্যে প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী বিগত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৮৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের প্রয়োজনে নবান্নে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব। রয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। মূলত বাংলায় করোনা রুখতে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়টি বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা রুখতে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে খবর।
এবারের কোভিড ঝড়ও সামলে নেব
করোনা পরিস্থিতি বাংলায় ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এই অবস্থায় জরুরি বৈঠকে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এর আগে শেষ ভোট প্রচারে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখান থেকে আরও একবার করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্তের জন্যে নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, সব জায়গাতে এক দফাতে ভোট হয়েছে। কিন্তু মানুষকে মেরে কেন আট দফার ভোট হচ্ছে বাংলায়। আমি নিজে কমিশনকে চিঠি দিয়েছি এরপরেও কেন কমানো হল নির্বাচনের দফা। প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে এদিন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, যেভাবে গতবারে করোনাকে সামাল দেওয়া হয়েছিল। এবারও সেভাবে কোভিড ঝড় সামলে নেব! আশাবাদী মমতা।
বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে নবান্ন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এই বৈঠক ঘিরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন জল্পনা! এমনকি, লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে বাংলা? এমনটি জল্পনা তৈরি হয়েছ। যদিও সূত্রে বলছে, নতুন করে ফিরে আসতে পারে কনটেনমেন্ট জোন। এলাকা ভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোনে ভাগ করা হতে পারে। সেই সমস্ত জোনে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হতে পারে বলে খবর। প্রয়োজনে সপ্তাহে দুদিন কড়া লকডাউন ঘোষণা করা হতে পারে জল্পনা। যদিও লকডাউনের পক্ষে নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে সচেতনতা বৃদ্ধির পক্ষেই তিনি। ফলে শেষপর্যন্ত দেখা যাক কি সিদ্ধান্ত নেন মমতা। গোটা দেশজুড়ে অক্সিজেনের আকাল। বাংলাতে যাতে না হয়, সেজন্যে বাড়তি কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর।
বাড়ছে বেড, সেফ হোমের সংখ্যা
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েই চলেছে। কলকাতায় প্রতিদিন হাজারের উপরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি আঁচ করে হাসপাতালের বেড বাড়ানোর পাশাপাশি সম্প্রতি সেফ হোমের পরিকাঠামো বাড়াতে আরও তৎপর হয় রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কলকাতায় সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদায়ী পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে করোনার জন্যে ৬০ শতাংশ বেড রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।