নয়াদিল্লি : ভারতের করোনা পরিস্থিতি দেখে মর্মাহত মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু দেশ। দেশের এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে এবার টুইটারে মুখ খুললেন তিনি।

সোমবার একটি টুইট বার্তায় তিনি বলেন, “ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি দেখে আমি সত্যিই উদ্বিগ্ন। আমি কৃতজ্ঞ যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। ভারতকে সব রকম সাহায্যের চেষ্টা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অক্সিজেন সরবরাহে প্রযুক্তিগত দিক থেকে মাইক্রোসফট ভারতের জন্য সাহায্য চালিয়ে যাচ্ছে।”

এদিকে করোনার সেকেন্ড ওয়েভে রীতিমতো বেসামাল অবস্থা গোটা দেশের। হাসপাতালে হাসপাতালে অক্সিজেন ওষুধের ঘাটতি। মৃত্যুর হার শতকরা ৮৯ শতাংশ। এই অবস্থায় রবিবার পর্যন্ত সারাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৯ লক্ষ ৬০ হাজার ১৭২ জন।

অন্যদিকে, ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন যে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।ভারতকে সবরকম সাহায্যের চেষ্টা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে ব্লিংকেন বলেন, মারণ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ভারতের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখে আমাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত। আমাদের সহযোগী দেশ ভারতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে আমরা যোগাযোগ রেখেছি। আমরা খুব দ্রুত ভারত এবং ভারতের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছি।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন যে, আমেরিকা ভারতকে সাহায্যের জন্য চব্বিশ ঘন্টা কাজ করছে।ভারতে যেভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব উদ্বিগ্ন। আমরা আমাদের বন্ধু দেশ ভারতের জন্যে সবরকম সাহায্য করব এবং মেডিক্যাল সরঞ্জাম, জীবনদায়ী ওষুধ থেকে ভ্যাকসিন দ্রুত সরবরাহের কাজ করব।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির মত আছড়ে পড়েছে গোটা ভারতে। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় গোটা দেশে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার। যা আগের দিনের থেকে বেশ কয়েক হাজার বেশি।করোনার মারণ কোপে প্রাণ হারিয়েছে ২ হাজার ৮১২জন। যা রীতিমতন হাড়হিম করে দিচ্ছে দেশবাসীর।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.