পাটনা : করোনায় ত্রস্ত গোটা দেশ। মারণ ব্যাধির দ্বিতীয় ধাক্কায় রীতিমতো পর্যুদস্তু জনজীবন। এই অবস্থায় দিন যত যাচ্ছে ততই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে সংক্রমণের গ্রাফচিত্র। আর এই অবস্থায় হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের পর ফের প্রকাশ্যে এল আরও এক রাজ্যের করোনা সংক্রমিত রোগীর নৃশংস হত্যার ছবি।
স্ত্রী করোনা পজিটিভ হওয়ায় এবার তাঁর শিরশ্ছেদ করল খোদ রেলকর্মী স্বামী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পাত্রাকর নগরের মুন্নাচক এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  স্ত্রী তুলিকা কোভিড পজিটিভ হওয়ায় আতঙ্কে তাঁকে মুন্নাচকের ‘ওম আবাসনের’ ভিতরেই শিরশ্ছেদ করে অভিযুক্ত রেলকর্মী স্বামী অতুল লাল। যদিও স্ত্রীকে খুন করার পর ওই আবাসনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিজেও আত্মহত্যা করেন তিনি।  ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, চলতি এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ পশ্চিম দিল্লিতে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে প্রকাশ্য দিবালোকে ২৫ টুকরো করে খুনের অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে।  সেদিনের ওই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে দেখা যায়, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে শুধুমাত্র এই সন্দেহের বশে পশ্চিম দিল্লির বুদ্ধবিহার বাজারের মধ্যেই তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা তার স্ত্রীকে বাঁচাতে গেলে তাঁদের দিকেও ছুরি নিয়ে উন্মত্তের মতো কোপাতে ছুটে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। যদিও পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়৷
এই করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশ জুড়ে হাহাকার শুরু হয়েছে অক্সিজেন, মেডিক্যাল সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধপত্রের। দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কানাডা, আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। ভারতকে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে একাধিক দেশ। এছাড়াও করোনা মোকাবিলায় ভারতকে ১৩৫ কোটি টাকা দিয়ে অর্থ সাহায্য করেছে গুগল। দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে সবরকম ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেলা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.