রাত পোহালেই লকডাউন শুরু কর্ণাটক জুড়ে, মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা জানিয়ে দিলেন কার্ফুর মেয়াদকাল

দেশে আরও এক রাজ্য এবার লকডাউনের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে দিল। মুম্বই, দিল্লির পর এবার কর্ণাটক লকডাউনের রাস্তা নিল। এর আগে দক্ষিণী এই স্বপ্নসুন্দর শহরে কেবলমাত্র সপ্তাহান্তের 'কার্ফু' ঘোষিত ছিল। তবে এবার সেই কড়া বিধির মেয়াদকাল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইয়েদুরাপ্পা সরকার।

কী জানিয়েছে ইয়েদুরাপ্পা সরকার

করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে কর্ণাটক জুড়ে ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দক্ষিণী রাজ্য়ে গত কয়েকদিন ধরেই করোনার তীব্র বাড়-বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। আর তার জেরেই এদিন ইয়েদুরাপ্পা সরকার ২৭ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে।

কর্ণাটকের কোভিড পরিস্থিতি

১৩,৩৯,২০১ টি করোনা কেস সঙ্গে নিয়ে কোভিডের দ্বিতীয় স্রোতের সঙ্গে প্রবলভাবে লড়ে যাচ্ছে দক্ষিণী এই রাজ্য়। এরাজ্যে অ্যাক্টিভ কেস ২,৬২,১৬২ জন। এদিকে. কর্ণাটকের বাগিচা শহর বেঙ্গালুরুর পরিস্থিতি মুম্বইয়ের থেকেও খারাপ। অ্যাক্টিভ কেসের নিরিখে বেঙ্গালুরু পিছনে ফেলেছে মুম্বইকে।

মহারাষ্ট্র , দিল্লির থেকেও খারাপ পরিস্থিতি

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন কার্ফুর মধ্যে কোনও পাবলিক পরিবহন হবে না। তিনি এও বলেন যে, কর্ণাটকের কোভিড পরিস্থিতি মহারাষ্ট্র ও দিল্লির থেকেও খারাপ। এই মুহূর্তে দেশে করোনায় তৃতীয় বিপর্যস্ত রাজ্য হিসাবে কর্ণাটকের নাম এসেছে।

লকডাউনে কী কী বিধি লাগু হবে?

লকডাউনের সময় অত্যাবশ্যকীয় বিভিন্ন পরিষেবা আপাতত লাগু থাকবে। জানানো হয়েছে, করোনাকালেও ভোর ৬ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত সময়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে। প্রসঙ্গত কর্ণাটকে একদিনে ৩৪ হাজারের বেশি সংক্রমণ দেখা গিয়েছে । এরপর থেকেই বিজেপি শাসিত কর্ণাটক কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। সেই নিরিখে এদিন বৈঠকে বসে ইয়েদুরাপ্পা সরকার ১৪ দিনের লকডাউন নিয়ে কড়া বিধি আরোপ করে। ২ দিন আগেই বেঙ্গালুরু শহরেই শুধু করোনায় ১৭০০০ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর উঠে এসেছে। যা একদিনের নিরিখে এখনও পর্যবন্ত করোনা শুরুর সময় থেকে সবচেয়ে বড় দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে স্পাইক।