নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির মত আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় গোটা দেশে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার। যা আগের দিনের থেকে বেশ কয়েক হাজার বেশি।করোনার মারণ কোপে প্রাণ হারিয়েছে ২ হাজার ৮১২জন। যা রীতিমতন হাড়হিম করে দিচ্ছে দেশবাসীর।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত একদিনে করোনা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৯১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৭৩ লক্ষ ১৩ হাজার ১৬৩ জন। করোনার বলি হয়েছে ২ হাজার ৮১২জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৪৩ লক্ষ ৪ হাজার ৩৮২ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লক্ষ ১৩ হাজার ৬৫৮ জন। এখনো পর্যন্ত ১৪ কোটি ১৯ লক্ষ মানুষকে টিকাকরণ করা হয়েছে।
রবিবার মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ১৯১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৮৩২ জনের। এখনও পর্যন্ত করোনায় মহারাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ৬৪ হাজার ৭৬০ জন। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ২৯৫ হাজার ০২৭ জন। ২৪ ঘন্টায় ৬১ হাজার ৪৫০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত দুদিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যাটা কমেছে। শেষ শুক্রবার আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ৬৬ লক্ষ ৮৩৬ জন।
চরমে উঠেছে দিল্লির অক্সিজেন সঙ্কট। সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে সাহায্য চেয়ে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির কাছে ইতিমধ্যে চিঠিও দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু তারপরেও কমছে না উদ্বেগ। কখনও দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতাল, কখনও দিল্লির এলএনজেপি, বাটরা হাসপাতাল। একে একে প্রকট হয়েছে অক্সিজেন সঙ্কট।
দেশে অক্সিজেনের সংকট মেটাতে ৫৫১ টি অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে। এব্যাপারে পিএম কেয়ার ফান্ড ব্যবহার করা হবে। এদিন এমনটাই জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে। অক্সিজেন তৈরির প্ল্যান্টগুলি খুব তাড়াতাড়ি কার্যকরী করে তোলা হবে। এই সব অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে জেলা সদরগুলির সরকারি হাসপাতালে অবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.