জেপি নাড্ডার নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্যে প্রচারে এসে স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন জেপি নাড্ডা। তিনি প্রশ্ন করেছেন, এখন মহামারী নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, কেন প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সভায় হাজির হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইগো না জেদ কোনা তাঁকে বাধা গিয়েছে প্রশ্ন করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অহংকারই বাংলার মানুষ আর প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বাধা তৈরি করেছে।
রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ
পাশাপাশি জেপি নাড্ডা বাংলায় আসা কেন্দ্রীয় দলকে কাজে বাধা দেওয়ার কথাও তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশেয করে বলেছেন, কেন্দ্র বাংলার মানুষকে যে সেবা করছে তাতে বাধা দেবেন না। গতবছরে বাংলায় যখন করপোনা সংক্রমিতল হচ্ছিল, তখন কেন্দ্রের মেডিক্যাল টিমকে সরকারি গেস্ট হাউসে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযোগের জবাব কুণাল ঘোষের
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার অভিযোগের জবাব দিয়েছেন, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বিজেপিকে নির্লজ্জের দল বলে আক্রমণ করে তাঁর প্রশ্ন তাহলে মহারাষ্ট্র, রাজস্থন, কর্নাটক এবং উত্তর প্রদেশেও কি তৃণমূলের সরকার রয়েছে? তাঁর অভিযোগ দেশের সর্বনাশের মূলেই রয়েছে বিজেপি। তিনি আরও বলেছেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে যখন প্রধানমন্ত্রীকে খুঁজে বেরিয়েছেন, তখন তিনি বাংলায় প্রচারে ব্যস্ত। তাঁর অভিযোগ রাজ্যগুলিতে অক্সিজেনের পাশাপাশি জীবনদায়ী ওষুধ নেই।
প্রথমবার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন, কাজলকে হারিয়ে শোকবার্তায় কী বললেন শীলভদ্র
কেলেঙ্কারি চাপাচ্ছেন নাড্ডা
কুণাল ঘোষের দাবি, গতবার যেভাবে বাংলায় করোনার লড়াই লড়া হয়েছিল, এবারও সেরকম ভাবেই করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির স্লোগানকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, এক দেশ আর টিকার দাম বিভিন্ন রকমের। কেন্দ্রের জন্য একদাম, রাজ্যের জন্য এরকরম আর খোলা বাজারের জন্য অন্যরকমের। কুণাল ঘোষের আক্রমণ, কেলেঙ্কারি তো জেপি নাড্ডারাই চাপিয়ে দিচ্ছেন। কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, এখন তো আসছেন প্রচারের জন্য, লকডাউনের সময় কোথায় ছিলেন?