নয়াদিল্লি: মাত্রাছাড়া সংক্রমণে নাভিশ্বাস ভারতের। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও বাড়ল উদ্বেগ। দেশে সাড়ে ৩ লক্ষ ছুঁইছুঁই দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি ২,৭৬৭। রাজ্যে-রাজ্যে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। অক্সিজেনের আকাল সর্বত্র। একাধিক রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পুরোপুরি ভেঙে পড়ার মুখে। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঘোর উদ্বেগে কেন্দ্রীয় সরকার।
রবিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৯১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭৬৭ জনের। বেলাগাম সংক্রমণ গোটা দেশে। সব মিলিয়ে রবিবার পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৬৯ লক্ষ ৬০ হাজার ১৭২। ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৮৫ হাজার ১১০ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩১১। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ২৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৫১। এখনও পর্যন্ত দেশের ১৪ কোটি ৯ লক্ষ ১৬ হাজার ৪১৭ জনের টিকাকরণ হয়েছে।
করোনার করাল গ্রাসে দেশ। রাজধানী দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গনা, তামিলনাড়ু, ছত্তীসগড়, পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। রাজ্যে-রাজ্যে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। হাসপাতালগুলিতে আইসিইউ বেডের আকাল। অক্সিজেনের বান্ডার নিঃশেষ হওয়ার পথে। একাধিক রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার মুখে।
করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে টিকাকরণে গতি বাড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ১ মে থেকে দেশের ১৮ বছর বয়সে উপরে প্রত্যেককে করোনা টিকা দেওয়া শুরু হতে চলেছে। বর্তমানে দেশে দুটি টিকার প্রয়োগ চলছে। পুণের সেরাম ইন্সটিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। এবার থেকে খোলা বাজারেও এই দুটি ভ্যাক্সিন মিলবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগেই সেরামের তরফে কোভিশিল্ডের দাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার তাদের ভ্যাক্সিনের দাম জানাল ভারত বায়োটেকও। রাজ্য সরকারগুলি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের প্রতি ডোজ ৬০০ টাকায় কিনতে পারবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কোভ্যাক্সিনের প্রতি ডোজ ১২০০ টাকায় বিক্রি করবে সংস্থাটি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.