বালুরঘাট : একাউন্টে খরচের টাকা না ঢোকায় বালুরঘাট কলেজ ডিসিআরসিতে বিক্ষোভ ভোট কর্মীদের। অভিযোগ তাঁদের বিভিন্ন এলাকায় ভোটের ডিউটি পড়লেও এখনও পর্যন্ত খরচের টাকা আসেনি। অধিকাংশের একাউন্টে টাকা না ঢোকায় ভোট কর্মীরা নগদ টাকার দাবি করেছেন। যদিও প্রশাসনের দাবি দেরিতে হলেও সকলেরই একাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে।
বালুরঘাটে এদিন খাবারের টাকা না পেলে বুথে রওনা দিবেন না বলে চিৎকার করতে থাকেন ভোট কর্মীদের একাংশ। বালুরঘাট কলেজের ডিসিআরসি’র ভিতরে ভোট কর্মীদের এই বিক্ষোভে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনে সপ্তম দফায় সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের মোট ছয়টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হতে চলেছে। মোট ১২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৬৬ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোটগ্রহণ পর্ব সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা ও সম্পন্ন করতে ১৭৫৫টি বুথের জন্য ৮ হাজারেরও বেশি ভোটকর্মী থাকছেন।এই ভোটকর্মীদের ইভিএম ও সামগ্রী নির্বিঘ্নে বুথে পৌঁছে দিতে বালুরঘাট ও বুনিয়াদপুরে দুইটি ডিসিআরসি খোলা হয়েছে।
রবিবার সকালে তপন গঙ্গারামপুর বালুরঘাট এবং কুমারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটকর্মীরা ইভিএম ভিভিপ্যাড সহ সহায়ক সামগ্রী সংগ্রহ ও বুথের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে ডিসিআরসি বালুরঘাট কলেজে উপস্থিত হন। একাংশের অভিযোগ তাঁরা ইভিএম সহ সমস্ত কিছু সংগ্রহ করে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করলেও খাবারের জন্য বরাদ্দ টাকা তাঁদের একাউন্টে ঢোকে নাই। বালুরঘাট কলেজ ডিসিআরসি চত্বরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। খরচা বাবদ বরাদ্দ টাকা না পেলে বুথে গিয়ে খাওয়া দাওয়া কোন অর্থে মেটাবেন বলে প্রশ্ন তোলেন। সময় মত খরচের টাকা একাউন্টে জমা না হওয়ায় দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সাথে ভোট কর্মীদের দফায় দফায় বচসা বাধে।
বিক্ষোভরত ভোটকর্মী অনুপম দাস বলেন এর আগের নির্বাচনগুলিতে কোনওবার এরকম হয়নি। তাঁর মতো আরও অনেকেরই একাউন্টে টাকা ঢোকেনি। অন্যান্য ডিসিআরসিতে খরচের টাকা হাতে হাতে নগদে দেওয়া হলেও এখানে সেটাও দেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা উল্টে টাকা পেতে ডিএম অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক সি মুরুগান জানিয়েছেন ভোট কর্মীদের বিক্ষোভ সংক্রান্ত কোন খবর তিনি পান নাই। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে তা দ্রুত সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাসও জেলার নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.