করোনাকালে অর্থব্যয় থেকে অক্সিজেনের ঘাটতি ইস্যুতে সাত মাসের খতিয়ান তুলে ধরে মোদী সরকারকে তোপ অভিষেকের

করোনার দাপট কার্যত উল্টে পাল্টে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে । এদিকে এই মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় স্রোতের শিকার দেশের অগণিত মানুষ। ভোটমুখী বঙ্গেও তার মারণ থাবা গভীরতা বাড়াচ্ছে। এরই মধ্যে শনিবার কলকাতার জোড়াসাঁকোর প্রার্থী বিবেক গুপ্তা ও শ্যামপুকুরের প্রার্থী শশী পাঁজার সমর্থনে প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে করোনাকালে নির্বাচন কমিশনের নয়া বিধি লাগু হওয়ায় তিনি বর্তমানে ভার্চুয়াল প্রচারে ঝড় তুলছেন। আর তেমনই এক ফেসবুক লাইভ থেকে মোদী সরকারকে একহাত নিলেন অভিষেক।

মোদীকে টেক্কা দিতে অন্যভাবে প্রচার !

ভার্চুয়াল প্রচারে নরেন্দ্র মোদী কতটা পটু, তা দেখেছে দেশ। তবে এবার বিজেপির এই তাবড় নেতাকে টেক্কা দিতে অভিষেক নিজের ফেসবুক লাইভে জনতাকে আহ্বান জানিয়েছেন , তাঁকে প্রশ্ন করার। আর জনতার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অভিষেক একের পর পর এক প্রসঙ্গ তুলে বিঁধেছেন মোদী সরকারকে।

করোনাকালে সময় পেয়েও সামলাতে পারেনি মোদী সরকার!

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, করোনাকালে সাত মাস সময় পেয়েছিল মোদী সরকার। তারমধ্যেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সঠিক পন্থা নির্ধারণ করতে পারেনি কেন্দ্র। অভিষেক বলেন, 'দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন না দিয়ে তা বিদেশে রফতানি করা হয়েছে।' তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, ' কেন্দ্রের সরকার জানত, দ্বিতীয়বার এদেশে করোনা ছড়ালে সামলাতে হিমশিম খেতে হবে। সব জেনেও অক্সিজেন ও ভ্যাকসিন বিদেশে পাঠানো হল। '

'বাংলার মানুষের কি জীবনের দাম নেই' !

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, কেন একই ভ্যাকসিন কেন্দ্রের জন্য আলাদা দাম হবে, আর রাজ্য সরকারের জন্য আলাদা দাম হবে? এই নিয়ে তিনি একটি চিঠিও পাঠান মোদীকে। এদিকে কার্যত একই সুর তুলে অভিষেক বলেন, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে কেন্দ্র দেড়শো টাকায় ভ্যাকসিন পাবে, আর রাজ্যগুলিকে একই ভ্যাকসিন কিনতে হবে চারশো টাকায়। অভিষেকের প্রশ্ন, 'কেন বাংলার মানুষের কি জীবনের দাম নেই?'

অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে তোপ

অভিষেক বলেন, ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত নয় হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন বিদেশে রফতানি করেছে কেন্দ্র। তাই এখন সারা দেশে অক্সিজেনের খামতি।

করোনাকালে সংসদভবনের খরচ ইস্যু

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, করোনার প্রবল সংকট যখন শিয়রে তখন সংসদ ভবন চালু করা হল। এতে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হল। তিন হাজার কোটি টাকার মূর্তি গড়া হল। সাড়ে আট হাজার কোটির বিমান এল প্রধানমন্ত্রীর জন্য। ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদের দাবি, এই টাকা নষ্ট হয়েছে।

Know all about
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়