মুম্বই: দেশের প্রথম থেকে যে রাজ্যে করোনা নিয়ে সব থেকে বেশি উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তা মহারাষ্ট্র। উদ্ভব ঠাকরের সরকার কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রুখতে রাতে কার্ফু এবং ছুটির দিন নতুন করে লকডাউনের কথা ঘোষণা করে। কোভিডের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। নিচু শ্রেণী এবং দশম শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিলের সঙ্গে স্থগিত করা হয় দ্বাদশ শ্রেণীর সঙ্গে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পরিক্ষাগুলিও। তবে এবার মহারাষ্ট্র সরকার উচ্চশিক্ষার পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে স্নাতক স্তরের পরীক্ষাগুলি নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রের উচ্চ ও প্রযুক্তিগত শিক্ষামন্ত্রী উদয় সামন্ত শনিবার উচ্চশিক্ষার পরীক্ষা বিষয়ে রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির সঙ্গে বৈঠক করেন। করোনা ভাইরাসের সময়ে রাজ্যের ১৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বৈঠক বলে জানা গেছে।

উদয় সামন্ত বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের জানান, অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে রাজ্যপাল সম্মতি জানিয়েছে। আর পাশাপাশি এই বৈঠকে পরীক্ষার উত্তরপত্র এবং ফলাফলের বিষয়নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। আরাও যোগ করে বলেন, এই মাহামারীর সময়ে নন-এগ্রিকালচার বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের ১৮ বছরের ওপরে প্রায় ৩৬ লক্ষ শিক্ষার্থীদের টিকাকরণ পর্বের সঙ্গে অনলাইন পরীক্ষা এবং সময়মতো শিক্ষাবর্ষ শুরু করার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের সামনে ভৌগোলিক চ্যালেঞ্জ এর বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন বিদর্ভের গদছিরোলির গন্ডোয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় ভৌগোলিক চ্যালেঞ্জ থাকা স্বত্বেও অনলাইন পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।

অন্যদিকে আবার মন্ত্রীকে সাংবাদিকরা এই মহামারীর সময়ে বিজেপি সাংসদ সুজয় ভিখের নিজের জেলায় রেমডেসিভির জমায়েত করার বিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উচ্চ ও প্রযুক্তিগত শিক্ষামন্ত্রী উদয় সামন্ত।

কোভিড-১৯ ক্রমবর্ধমান ভাবে সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে বেড়ে চলার কারণে আগে সমস্ত বিদ্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে উদ্ভব ঠাকরের সরকার। পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত নিচু ক্লাসগুলিকে বিনা পরিক্ষায় উচ্চশ্রেণীতে উত্তীর্ণ করার কথাও জানানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। মহামারীর সময়ে ছাত্রদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.