১০ মার্চ পায়ে আঘাত
মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে আঘাত লেগেছিল ১০ মার্চ। সেদিন হলদিয়ায় মনোনয়ন পেশের পরে বিকেলে নন্দীগ্রামেই প্রচার সারছিলেন। সেই সময় ভিড়ের চাপে গাড়ির দরজা গিয়ে পড়ে তাঁর পা এবং ঘাড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ভর্তি করানো হয় এসএসকেএম-এ। দুদিন পরেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি চলে যান তিনি। তারপরেই হুইল চেয়ারে করে প্রচারে। এই ঘটনার পরে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছিলেন। যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, কোন হামলার ঘটনা এটা ছিল না। যদিও রাজ্য সরকারের তরফেএই ঘটনার জন্য আলাদা করে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডির হাতে।
পায়ের অবস্থা আগের থেকে ভাল, বলেছিলেন মমতা
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, তাঁর পায়ের অবস্থা আগের থেকে ভাল। পায়ের আঘাত নিয়ে মানসিক যন্ত্রণার কথাও তিনি বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন দাঁড়িতে বক্তৃতা দেন। কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় হুইল চেয়ারেই প্রচার করছেন তিনি। দিন সাতেক আগে তিনি ইঙ্গিত করেছিলেন চিকিৎসক তাঁকে বলেছেন দিন দশেক প্ল্যাস্টার রাখতে হবে।
বাড়ি গিয়েই প্ল্যাস্টার কাটাবেন
বহরমপুরের রবীন্দ্র সদনে এদিন ভার্চুয়াল সভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, পায়ে আঘাত নিয়ে তিনি গত দেড় মাস ধরে জেলায় জেলায় ঘুরছেন। যেহেতু বাড়ি যেতে পারছেন না, তাই প্ল্যাস্টার কাটাতে পারছেন না। তিনি বলেন, টানা দশদিন বাড়ির বাইরে রয়েছেন। গত দেড়মাস কোনও সময় নষ্ট করেননি। প্রতিটি জেলায় প্রচার করেছেন। পায়ে চোট নিয়েই একের পর এক সভা করেছেন তিনি। বাড়ি ফিরেই প্ল্যাস্টার কাটানোর কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কেননা পায়ের ব্যথাও কার্যত সেরে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার পরে তৃণমূলের তরফে ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাই করেছেন। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট জেলায় গিয়ে সেই জেলার ভার্চুয়াল সভা করেছেন।
মোদী-শাহের নেতৃত্বেই বাংলাকে বঞ্চনা, রেমডেসিভির বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা তৃণমূলের
মঙ্গলবার কাটাতে পারেন প্ল্যাস্টার
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন রাতেই কলকাতায় ফিরতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ভোট আছে ভবানীপুরে। আর মঙ্গলবার পায়ের প্ল্যাস্টার কাটাতে পারেন তিনি।