বালুরঘাট : দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ। এরই মাঝে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্থাপিত বুথের ভেতর ব্যবহৃত তুলো ও আবর্জনা পড়ে থাকায় বাইরে বারান্দায় বসে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনির জওয়ান ও ভোটকর্মীরা ।
বালুরঘাট শহরের মঙ্গলপুর এলাকার ৩৯/২৮ নং বুথের ঘটনা। আজ দুপুরে ভোটকর্মীরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওই বুথে পৌঁছে দেখেন ঘরের ভেতর করোনা টিকাকরণের ব্যবহৃত তুলো পড়ে রয়েছে। ঘটনায় আতঙ্কিত ভোট কর্মীরা বাইরে বারান্দায় বসেই কাজ শুরু করেন।
বালুরঘাট শহরের মঙ্গলপুর এলাকায় অবস্থিত স্থানীয় পুরসভার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বেশ কয়েকদিন ধরে মঙ্গলপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলছিল করোনার টিকাকরণ। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের টিকাকরণ ঘরে রয়েছে বালুরঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৯/২৮ নং বুথ।
রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনির জওয়ানদের সাথে নিয়ে ভোটকর্মীরা বুথে গিয়ে দেখেন ভেতরে ঘরের কোনায় টিকাকরণে ব্যবহৃত প্রচুর তুলো পড়েছে। আতঙ্কিত ভোটকর্মী ও জওয়ানরা ঘরে না ঢুকে বাইরে বারান্দাতেই বসে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারেন।
আরও খবর পড়ুন – হা হা হা…আমি করোনাআআআআআ…মাস্ক পরাতে তেড়ে আসছে করোনাসুর
বুথের প্রিসাইডিং অফিসার প্রান্তপ্রতিম ঘোষ জানিয়েছেন এদিন দুপুরে তাঁরা ইভিএম ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছান। সেখানে দেখেন করোনার টিকাকরণ দেওয়ার সময় যে তুলো ব্যবহার করা হয়েছে তা মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ঘরটি পরিষ্কারও করে রাখা নেই বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।
বুথের অস্বাস্থ্যকর ঘরের ব্যাপারে সেক্টর অফিসে খবর যথারীতি দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ঘরগুলি পরিষ্কার ও স্যানিটাইজেশন করে দেওয়া হচ্ছে ততক্ষন তাঁরা ভেতরে ঢুকবেন না বলে প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছেন। বুথের বিএলও পপি সরকার ভৌমিক জানিয়েছেন যে ভোটকর্মীরা ঘরে ঢুকতে না পারার খবর পেয়ে তিনি সেখানে পৌঁছান। ভেতরে ব্যবহৃত তুলো পড়ে থাকার বিষয়টি স্বচোখে দেখে বিকেল নাগাদ সাফাইকর্মী দিয়ে ঘরটি পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.