নয়াদিল্লি: ৫ কোটি ৭০ লক্ষ পাউন্ড দিয়ে ব্রিটেনের স্টোক পার্ক কিনল মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫৯২ কোটি টাকা। এটি একটি বিলাসবহুল রিসর্ট-গলফ কোর্স হিসেবে এটি ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা হবে।কিং পরিবারের মালিকানাধীন ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ-এর কাছ থেকে ঐতিহ্যশালী ক্লাবটি কিনতে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শাখা সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনভেস্টমেন্টস অ্যান্ড হোল্ডিংস লিমিটেড বৃহস্পতিবার রাতে নির্দিষ্ট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এক বিবৃতিতে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, ‘আতিথেয়তা শিল্প ক্ষেত্রে গোষ্ঠীর প্রসার ঘটাবে এই অধিগ্রহণ। ইআইএইচ লিমিটেডে (ওবেরয় হোটেলস) রিলায়েন্স গোষ্ঠীর বিনিয়োগ রয়েছে এবং বিকেসি মুম্বইতে অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টার, হোটেল ও ম্যানেজড রেসিডেন্স গড়ে তুলছে রিলায়েন্স।’লক্ষণীয় যে গত চার বছরে মুম্বই-ভিত্তিক তেল-টেল টেলিকম সংস্থা ৩.৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা করেছে যা মধ্যে রিটেলস সেক্টরে ১৪ শতাংশ, প্রযুক্তি, মিডিয়া এবং টেলিকম সেক্টরে ৮০ শতাংশ, এনার্জি সেক্টরে ৬ শতাংশ।
কান্ট্রি ক্লাবটির ইতিহাস প্রায় ৯০০ বছরের পুরনো।১০৬৬ সালে প্রায় ৩০০ একরের এই এলাকা এক সম্ভ্রান্ত ব্রিটিশ পরিবারের সম্পত্তি ছিল। এর বহু বছর পর ১৫৮১ সালে তা কিনে নেয় ব্রিটিশ রাজপরিবার। প্রাইভেট হোম হিসাবে তৈরি শুরু হয় ১৭৯০ সালে। নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল ১৮১৩-তে।বাকিংহামশায়ারে ৩০০ একর জুড়ে বিস্তৃত স্টোক পার্কে কান্ট্রি ক্লাব ছাড়াও রয়েছে অত্যন্ত বিলাসবহুল স্পা, হোটেল, গল্ফ কোর্স। ব্রিটিশ বিত্তশালীদের পাশাপাশি বিশ্বের সিনেমা, খেলাধুলো এবং রাজপরিবারের সুপারস্টাররা প্রায়শই এখানে ভিড় জমান। এছাড়া সিনেমার শ্যুটিংয়েও এটা অত্যন্ত জনপ্রিয় স্পট। প্রসঙ্গত, জেমস বন্ড সিরিজের ‘টুমরো নেভার ডাইজ’-এর কিছু অংশের এখানে শ্যুটিং হয়েছিল।
ভারতের শিল্পপতিদের কাছে সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ের পর থাকার জন্য পছন্দের জায়গা লন্ডন। এমনকী, মুকেশ আম্বানি সপরিবারে গত বছরের গরমের সময়টা হ্যাম্পশায়ারের এই বিলাসবহুল হেকফিল্ড প্লেস-এ কাটিয়েছেন।সম্প্রতি ব্রিটেনে বেশ কিছু স্থানে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে রিলায়েন্স।ব্রিটিশ খেলনা খুচরো বিক্রেতা সংস্থা হ্যামলেজ ৬২০ কোটি টাকায় অধিগ্রহণ করেছে রিলায়েন্স সংস্থা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.