নয়াদিল্লি: দেশবাসীকে টিকা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জানিয়েছেন দেশে চলছে সংক্রমণের ‘ঝড়’। যা গোটা দেশকেই কাঁপিয়ে দিচ্ছে। দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড বিশ্বের নিরিখে রেকর্ড আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে প্রতিদিন। এমনকি এখন আমেরিকাকেও ছাপিয়ে গেছে সংক্রমণ।
ভারতে এত সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে, যে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন মুলুকও। এমনকি এখন দেশের সংক্রমণের মাত্রা আমেরিকাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স-এর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দিল্লিতে এখন একজন আক্রান্ত ব্যক্তি ৯ জনকে সংক্রামিত করছে। আগের বছর এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৪।
রবিবারের রিপোর্ট মোতাবেক গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাড়ে ৩ লক্ষ ছুঁইছুঁই দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি ২,৭৬৭। রাজ্যে-রাজ্যে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। অক্সিজেনের আকাল সর্বত্র।
রবিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৯১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭৬৭ জনের। বেলাগাম সংক্রমণ গোটা দেশে। সব মিলিয়ে রবিবার পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৬৯ লক্ষ ৬০ হাজার ১৭২। ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৮৫ হাজার ১১০ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩১১। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ২৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৫১। এখনও পর্যন্ত দেশের ১৪ কোটি ৯ লক্ষ ১৬ হাজার ৪১৭ জনের টিকাকরণ হয়েছে।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে রাজধানী দিল্লি। করোনা মোকাবিলায় গত সপ্তাহেই দিল্লি জুড়ে ৬ দিনের লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এক সপ্তাহের লকডাউনেও বাগে আসেনি সংক্রমণ। দিল্লি জুড়ে অক্সিজেনের আকাল। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের উপচে পড়া ভিড়।
এখন ভ্যাকসিন ভরসায় তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছে। প্রথম পর্বে দেশের ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের করোনা টিকা দেওয়া হয়। তারপর শুরুহয় প্রবীণ নাগরিকদের টিকাকরণ। একইসঙ্গে ৪৫ বছরের উপরে কোমর্বিট রোগীদেরও করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। সপ্তাহ খানেক আগেই ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এবার আগামী ১ মে থেকে দেশজুড়ে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে টিকা দেওয়া শুরু হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.