রাজ্যে বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা, জঙ্গিপুরের ঘটনার 'দায়' নিয়ে মোদী-মমতার তুলনা অধীরের

জঙ্গিপুরে সরকারি হাসপাতালে করোনা (coronavirus) পরীক্ষা করাতে রোগীকে নিজেই নিজের নমুনা সংগ্রহ করে জমা দিতে হচ্ছিল। শনিবার সেই ঘটনা সামনে আসার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এদিন সেই অবস্থার পরিবর্তন হলেও, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (adhir chowdhury)।

বেহাল দশা জঙ্গিপুরে

শনিবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখানো হয় জঙ্গিপুরের সরকারি হাসপাতালে করোনার রোগীরা নিজেদের নমুনা নিজেরাই সংগ্রহ করছেন। গলায় থেকে আদৌ নিজেরাই সেই নতুনা সংগ্রহ করা যায় কিনা একদিকে যেমন তার প্রশ্ন উঠছে, অন্যদিকে নমুনা যেভাবে রাখা হচ্ছে, তাতে একজনের সঙ্গে আরেকজনের নমুনা মিশে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। যদিও সংবাদমাধ্যমে পরিস্থিতি সামনে আসার পরে তৎপর হয় স্বাস্থ্যভবন।

অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া

মুর্শিদাবাদে ভোট। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বাড়িতেই বন্দি রয়েছেন অধীর চৌধুরী। নিজের জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় এই অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীই দায়ী। বাংলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কতটা দুর্বল আর স্পর্শকাতরহীন তা এই ছবি থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা পরিস্থিতির জন্য দিল্লিকে দায়ী করছেন, বলছেন সব দোষ মোদী সরকারের। কিন্তু সে দোষ যে নিজের সরকারের আরও বড় করে রয়েছে, তা স্বীকার করতে রাজি নন তিনি (মমতা)।

স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে কটাক্ষ

রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেছেন, সরকারি হাসপাতালগুলো নীল-সাদা রঙ করা ছাড়া আর কী হয়েছে। পাশাপাশি নির্মল মাঝিদের মতো লোকদের হাসপাতালের পরিচালন কমিটিতে ঢুকিয়ে রাজনীতি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিযোগ অধীর চৌধুরীর।

অধীর চৌধুরীর অভিযোগ বাংলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যে অনাচার হয়েছে, তা অন্য কোথাও হয়নি। প্রথমে চিকিৎসকরা পিপিই কিট পাননি, রোগীরা চিকিৎসা পাননি। পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা গোপন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

সপ্তম দফায় ভোট দেবেন মমতা, বিশেষ ব্যবস্থা করা হল মিত্র ইনস্টিটিউশনে

করোনা পরীক্ষা করাতে পাঁচদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে

অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে অনেক জায়গাতেই করোনার টেস্ট করাতে চাইলে চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে রোগীদের। প্রথম থেকেই এই পরিস্থিতি। এর দায় তো আর কেন্দ্রের নয়, এর দায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীরই। মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি আরও কটাক্ষ করে বলেছেন, কোভিডের ব্যবস্থাপনা ছেড়ে ক্রেডিট নেওয়ার চক্করে পড়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা যে ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী জানেন না বলেও মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।