কলকাতা: এতদিন পর নিজের ছেলেকে কাছে পেয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে চুমুর আদরে ভরিয়ে দেওয়া থেকে নিজেকে সামনে রাখতে পারলেন না রাজ চক্রবর্তী। বেশ কয়েক মাস ধরে নির্বাচনী প্রচারের জন্য ব্যারাকপুর কেন্দ্রেই ছিলেন রাজ চক্রবর্তী। গ্রীষ্মের তপ্ত রোদের দাবদাহ উপেক্ষা করেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন তিনি। জেনেছেন নিজের কেন্দ্রের মানুষের দুঃখ যন্ত্রণা। মারাত্মক ব্যস্ততায় দিন কেটেছে পরিচালক এবং তৃণমূলের প্রার্থী রাজ চক্রবর্তীর।

মাঝে একটা দিনের জন্য ফিরেছিলেন বাড়িতে। দোলের দিনে নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার আগেও নিজের কেন্দ্রে মানুষদের সঙ্গে দোল উৎসব পালন করেছেন তিনি। তারপরেই আবার ব্যাক টু ওল্ড ফর্ম। চুটিয়ে প্রচার চালিয়ে এলাকার মানুষের ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছেন তিনি। কয়েক সপ্তাহ আগে রাজ চক্রবর্তী নির্বাচনী প্রচারে তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী ও রাজের স্ত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী।

মাঝখানে এতদিন নিজের ছেলে ইউভান এর থেকে দূরে ছিলেন তিনি। তাই ভোট প্রচার শেষ করে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে ভোট হয়ে যাওয়ার পরে বাড়ি ফিরে ছোট একরত্তি ইউভানকে দেখে আনন্দে আবেগে আত্মহারা হয়ে পড়লেন তিনি। টলিউডের এই মুহুর্তের কিউটেস্ট স্টার কিড ইউভান।

নেটিজেনদের মতে আপাতত এই ক্ষুদে দস্যি সবাইকে কিউটনেস গোল দিচ্ছে। নিজের সন্তানকে চুমুর আদরে ভরিয়ে দিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করলেন রাজ চক্রবর্তী। উপরে ক্যাপশন দিলেন ‘বাবার অত্যাচারে জর্জরিত ইউভান’। ইউভান অবাক দৃষ্টিতে গোল গোল চোখে আর মাঝেমধ্যে দুষ্টু মিষ্টি হাসিতে বাবার সেই আদর দারুণভাবে উপভোগ করল। সেই ভিডিওতে রাজ আদর করতে করতে তাঁর সন্তানকে বলছেন,’ তুমি আমার ছেলে। তোমাকে আমি যা টর্চার করবো তোমাকে তা শুনতে হবে। কারণ বাবা এতদিন বাড়িতে ছিল না।’

রাজ হাসতে হাসতে আরো বললেন, ‘চুপ করে সহ্য করবে, কোন কথা বলবেনা।’ শুধু তাই নয় ইউভান তাঁর মিষ্টি এক্সপ্রেশন দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে সেও বাবার এই আদরকে খুব মিস করেছে। আর সেই আদর এতদিন পরে পেয়ে সে খুব খুশি। অবশ্য রাজ চক্রবর্তীও এই ভিডিওতে নিজের ছেলের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নিলেন। বললেন ইউভান যে বাবার এই অত্যাচার সহ্য করছেন সেজন্য ইউভানের কাছে সে কৃতজ্ঞ।
আর এই ভিডিও দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.