মুম্বই: আবারও ভগবানের মত হাজির হয়েছেন ভারতীর পাশে সোনু সুদ। ভারতী করোনা আক্রান্ত। বর্তমানে তার শরীরের অবস্থা সঙ্কটজনক। ভারতীকে সুস্থ করতেই এগিয়ে এসেছেন আমাদের সোনু। কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত ভারতীকে বিশেষ চিকিৎসার জন্যে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নাগপুর থেকে হায়দ্রাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করলেন সোনু।
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতীর ফুসফুসের ৮৫-৯০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নাগপুর হসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছেন তার ফুসফুস প্রতিস্থাপন না করলে তাকে বাঁচানো যাবে না। কিন্তু নাগপুরের হাসপাতালে রেখে তা সম্ভব নয়, হায়দ্রাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালেই সম্ভব তার ফুসফুস প্রতিস্থাপন। তাই ভারতীকে নাগপুরের হাসপাতাল থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হায়দ্রাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন অভিনেতা সোনু সুদ।
সোনু জানাচ্ছেন, ‘ডাক্তার আমায় বলেছিল এই রোগীর বাঁচার চান্স রয়েছে ২০ শতাংশ। তারপরেও কি এই রোগীকে হায়দ্রাবাদের অ্যাপোলোতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে চাই আমি’। কোন রকম দ্বিধা না করেই সোনু এক কথায় বলেছিলেন ‘অবশ্যই আমি চাই। ভারতী একজন ২৫ বছরের ইয়ং মেয়ে, ও ঠিক পাড়বে এই যুদ্ধে জয় লাভ করতে। আর সে সুস্থ হয়ে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে। এই ভরসা রেখেই আমরা ওকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে অ্যাপোলোয় নিয়ে গিয়ে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
দেশের সেরা ডাক্তারদের টিম দিয়ে ভারতীর চিকিৎসা করান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সোনু। তিনি আশা রাখছেন খুব দ্রুত ভারতী সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে। অভিনেতা সোনু সুদের মানবিকতার পরিচয় আমরা আগের বছর সারা লকডাউন জুড়ে দেখে এসেছি।
দেশের সরকার যখন করোনা অতিমারি ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, তখন দেশের নানা প্রান্তে আটকে পরেছিল সহস্র পরিজায়ী শ্রমিকরা। নিজ দায়িত্বে সোনু স্পেশাল ট্রেন এবং বাসের ব্যবস্থা তাদের সুস্থ ভাবে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বিদেশে আটকে পড়া পড়ুয়াদেরও দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন তিনি। এছাড়া সারা লকডাউন জুড়ে গরীবদের মুখে অন্নের যোগান দিয়ে গেছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এবছর সোনু কোভিড আক্রান্ত হয়েও এত মানুষের আশীর্বাদে মাত্র সাত দিনেই সুস্থ হয়ে উঠে আবার এগিয়ে এসেছেন ভারতীকে সাহায্য করতে। আসলে সুপারহিরো কখন নিজের দায়িত্ব থেকে পিছু পা হন না। তারা সবসময় মানুষের বিপদে তাকে সাহায্য করতে ছুটে আসে। সোনু বারংবার সুপারহিরো ভূমিকায় অবতীর্ন হয়ে এসেছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.