কোভিড ইস্যুতে টুইট বিতর্ক , কেন্দ্রের নোটিসের পর মলয় ঘটক সহ বহু নেতার পোস্ট ঘিরে টুইটারের বড় পদক্ষেপ

করোনা পরিস্থিতিতে কার্যত দেশজুড়ে হাহাকার। কোথাও নেই আইসিইউ বেড কোথাও আবার অক্সিজেনের কমতি। এমন পরিস্থিতিতে বহু বিরোধীপক্ষের নেতাই মোদী সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পর পর পোস্ট করেছেন টুইটারে। এদিকে তারপরই কেন্দ্রের তরফে একটি নোটিস যায় টুইটারের দফতরে। মোদী সরকারের সেই নোটিস পেয়েই টুইটার নেয় পদক্ষেপ।

মমতার মন্ত্রীর টুইট নিয়ে পদক্ষেপ

রাজ্যের বিদায়ীমন্ত্রী মলয় ঘটক গত ২০ এপ্রিল একটি টুইট করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, ' কোভিড নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থার জন্য ভারত কোনওদিনও নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমা করবে না।' এর সঙ্গে মোদী সরকারের ভ্যকসিন রপ্তানী নীতিরও সমালোচনা করেছেন মমতার মন্ত্রী। তবে টুইটার এদিন সেই টুইট মুছে দিয়েছে।

একঝাঁক টুইট মুছে গেল

শুধু মলয় ঘটকই নন, সাংসদ রেবন্ত রেড্ডি, অভিনেতা বীনীত কুমার সিং, ফিল্ম নির্দেশক বিনোদ কাপরি, ও সংস্কৃতি জগতের ব্যক্তিত্ব অবীনাশ দাসও কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড মোকাবিলা নিয়ে সমালোচনা করে টুইট করেছিলেন। তাঁদেরও টুইট মোছা হয়েছে বলে খবর।

গিয়েছে কেন্দ্রীয় নোটিস

জানা গিয়েছে, মোদী সরকারের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার সমালোচনা ধর্মী একাধিক টুইট ভারতের তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের বিরোধী বলে দাবি করা হয়েছে। এই সমস্ত টুইট নিয়েই মোদী সরকারের তরফে নোটিস যায় টুইটারের কাছে। তারপরই মমতা মন্ত্রিসভার মলয় ঘটকের টুইট সহ একাধিক টুইট সরিয়ে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ।

তৃণমূলের অক্সিজেন কম পড়েছে, দায় বিজেপির নয়! অভিযোগ নিয়ে মমতাকে নিশানা দিলীপের

টুইট বিতর্ক ও টুইটার

প্রসঙ্গত পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে টুইটার সেভাবে কোনও মন্তব্য করেনি জনসমক্ষে। তবে যাঁদের টুইট ডিলিট করা হয়েছে তাঁদের কাছে টুইটার নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছে । এদিকে Lumendatabase.org নামের এক ওয়েবসাইটে টুইটার গোটা বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। সেখানে তারা জানিয়েছে যে সমস্ত টুইট ডিলিট করা হয়েছে, তা ওষুধের অভাব থেকে শুরু করে কুম্ভমেলা থেকে কোভিড ছড়িয়ে পড়া সংক্রান্ত বিষয়ে লেখা হয়। উল্লেখ্য, এই সমস্ত টুইটের প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের আইটি অ্যাক্ট ২০০০ এর প্রেক্ষাপটে টুইটারকে নোটিস পাঠায় কেন্দ্র। তারপরই পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

Know all about
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।