নয়াদিল্লি: করোনা চিকিৎসায় যাদের ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হচ্ছে তাদের হাসপাতালের বিল আসছে আকাশছোঁয়া। যাদের বীমা করা রয়েছে তাদের চিন্তার কোনো দরকার নেই, তাদের চিকিৎসা ব্যয়ের বেশিরভাগ অংশ বীমা সংস্থা প্রদান করছে। তবে এই মুহুর্তে যাদের হাতে নগদ অর্থ নেই কিংবা বীমার কোনো সুবিধা নেই, তারা সমস্যায় পড়তে পারেন।এমনকি যদি আপনার কোনও স্বাস্থ্য বীমা থাকেও তবে কোভিড চিকিৎসার জন্য নগদ টাকা হাতে রাখা উচিত। কারণ অনেক সময় দেখা যায় বীমার টাকা অনুমোদনে সময় লেগে যায়।

হাসপাতালও চিকিৎসা শুরু করার আগে কিছু পরিমাণ নগদ অর্থ চাইতে পারে। যদি অল্প টাকার স্বাস্থ্যবীমা করানো থাকে সেক্ষেত্রেও নগদ টাকা কাছে থাকাই শ্রেয় বলে মনে করছেন অনেকেই। যদি আপনার জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত টাকার প্রয়োজন হয় তবে নিন্মোক্ত বিষয়গুলো অবলম্বন করতে পারেন –

১.ক্রেডিট কার্ড লোন: ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারদের টাকা পরিশোধের ইতিহাস দেখে লোন অফার করা হয়ে থাকে। কোনও অতিরিক্ত ডকুমেন্টেশন ছাড়াই সাধারণত কয়েক ঘন্টার মধ্যে লোন দেওয়া হয়ে থাকে। কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আর্থিক সংকট দূর করতে ক্রেডিট কার্ড লোন দারুন কাজের। তবে মনে রাখতে হবে যে, ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার খুব বেশি, সাধারণত ৩৪-৪২ শতাংশ , যা সময়মতো পরিশোধ না করা হলে এগুলি অত্যন্ত ব্যয়বহুল করে তোলে।

২. ব্যক্তিগত লোন: প্রাক অনুমোদিত সীমার মধ্যে কোনো ব্যাঙ্কের বিদ্যমান গ্রাহক তাৎক্ষণিকভাবে লোন নিতে পারে। নতুন গ্রাহকদের ক্ষেত্রে যাদের কেওয়াইসি ডিজিটালভাবে সম্পন্ন হয়েছে, একই দিনে লোনের অনুমোদন আসতে পারে।যদি ব্যাঙ্কে গিয়ে স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয় তবে লোন পেতে একটু দেরি হতে পারে। ৯ থেকে ২৬ শতাংশ হারে এই লোন দেওয়া হয়ে থাকে।

৩. গোল্ড লোন : দ্রুত নগদ অর্থ পাওয়ার সবথেকে ভালো উপায় হল গোল্ড লোন। সাধরণত ২ বছরের জন্যে লোন দেওয়া হয়ে থাকে। তবে আপনি চাইলে সময়সীমা বাড়াতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে সোনার গয়না জমা রাখতে হবে। ব্যাঙ্কগুলো দামের ৯০ শতাংশ লোন হিসাবে দিয়ে থাকে। গোল্ড লোনের সুদের হার ব্যক্তিগত লোনের থেকে অনেকটাই কম। ৭ থেকে ১২ শতাংশ সুদের হারে লোন দেওয়া হয়ে থাকে।

৪. পিএফ লোন: কোনও কর্মচারী বা তার বাবা-মা, স্ত্রী বা শিশুরা কোভিডের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে সম্পূর্ণ টাকা তুলতে পারেন। একজন কর্মী মাসিক বেতনের ছয় গুণ তুলতে পারেন।অথবা পিএফ অ্যাকাউন্টে কর্মচারীর শেয়ার ও সঙ্গে ন্যূনতম অ্যামাউন্টের ইন্টারেস্টের টাকা তুলতে পারেন।

এছাড়া বীমা পলিসি, মিউচুয়াল ফান্ড, ডিমেট শেয়ার, ফিক্সড ডিপোজিট দেখিয়ে লোন নেওয়া যেতে পারে।অনলাইনে মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অ্যাকাউন্টে একটি ওভারড্রাফ্ট সীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে সেক্ষত্রে তাৎক্ষণিক লোনের সুবিধা পেতে পারেন। বীমা পলিসি মূল্যের ৬০ থেকে ৯০ শতাংশ, ফিক্সড ডিপোজিটের ৮০ থেকে ৯৫ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ডের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ লোন হিসাবে দেওয়া হয়ে থাকে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.