স্টাফ রিপোর্টার, বহরমপুর: আমার পা ঠিক হয়ে গিয়েছে৷ এবার কলকাতায় বাড়ি ফিরেই প্লাস্টার কাটাব৷ রবিবার বহরমপুরে রবীন্দ্রসদনে ভার্চুয়াল সভায় নিজেই একথা বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে পায়ে আঘাত পান তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপির বিরুদ্ধে ‘চক্রান্তে’র অভিযোগ তোলেন তিনি। পরে এসএসকেএম-এ পরীক্ষার পর জানা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের হাড়ে চিড় ধরেছে। প্লাসটার করা হয়। তারপর থেকে হুইল চেয়ারেই বসে একের পর এক জনসভা করেছেন তিনি। তবে রাজ্যে বিধানসভা ভোট পরিস্থিতিতে বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে মমতার পায়ের আঘাতের কথা। কখনও বিরোধীদের সমালোচনায় কখনও বিতর্কিত ভিডিয়োয় বারবার বার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর জখম পা। এদিন মমতা বলেন, ‘‘পায়ে চোট নিয়ে গত দেড় মাস জেলায় জেলায় ঘুরেছি। এখন হয়তো আমার পা ভালো হয়ে গিয়েছে কিন্তু, আমি যেহেতু বাড়িতে যেতে পারছি না, তাই প্লাস্টার কাটতে পারছি না। টানা দশ দিন আমি বাড়ির বাইরে আছি। বাড়ি ফিরে এটা আমাকে করতে হবে।’’

আরও পড়ুন: বুথে ছড়িয়ে করোনার টিকাদানের তুলো, ভয়ে বাইরে বসে ভোটকর্মীরা

দু-দিন আগেই এই ভাঙা পা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি বলেছিলেন, “এমনই স্বাস্থ্যব্যবস্থা খারাপ, যা পায়ে ব্যাথা হলেও দেড় মাসেও ঠিক হয় না। ২৯ তারিখ হয়ে যাবে দেখবেন সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে। হুইল চেয়ার পলিটিক্স ২০২১ সারাদেশের মানুষ দেখলে। মানুষের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে কোন ডেভলপমেন্ট করেনি এখন সিমপ্যাথি নিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছেন৷”

এদিন রাজ্য পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, মনে রাখবেন ভোটের পর আমরাই ফিরছি। তিনি বলেন, “হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট আমার কাছে এসেছে। কমিশন সিপিএফ পাঠিয়ে বিজেপিতে মদত দিচ্ছে। ক্রিমিনালদের পাহারা দেওয়ার জন্য সেন্ট্রাল ফোর্স দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পুলিশ বেচারা ইলেকশন এলেই ভয়ে চুপচাপ থাকে। যেন ঘুঘুর বাসায় পড়েছে। নিজেদের যে ব্রেনটা ইউজ করতে পারে না। তারা ভাবে ইলেকশন কমিশন যেটা একদিনের জন্য বলছে সেটা শুনতে বাধ্য। কিন্তু বাকি যে ৫ বছর আছে সেটা জানে না।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.