দিন দিন ক্রমশ আরো শক্তিশালী ও প্রভাবশালী হয়ে পড়ছে ভারতে করোনা পরিস্থিতি। হাসপাতালগুলির বাইরে রোগীদের ক্রমশ বাড়তে থাকা সংখ্যা এরই প্রমাণ দিচ্ছে। তবুও মানুষ যতটা সম্ভব বাড়িতে থেকেই হোক বা কাজ করলেও নিরাপত্তা বজায় রাখার চেষ্টা করছেন নিজের জন্যে।
পুষ্টিকর খাবার খেয়ে বা শরীরচর্চা করেই হোক তারা ক্রমাগত চেষ্টা করছেন যাতে নিজেদের বা নিজেদের পরিজনদের কেউই কোনোভাবে মহামারীর কবলে না পড়েন। আবার এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে এক বিশেষ জরিপ। সেই গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী, পুরুষদের তুলনায় নারীদের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি বেশি থাকে। এতে বোঝা যাচ্ছে যে নারীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতাও পুরুষদের চেয়ে বেশি।
এই জরিপ অনুযায়ী যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে নারীদের শরীরে ৩৭.১২ শতাংশ এবং পুরুষদের শরীরে ৩৫.০২ শতাংশ অ্যান্টিবডি উপস্থিত রয়েছে। আরো একটি বিষয় হলো একটুঁ অপেক্ষাকৃত অনুন্নত এলাকা থেকে নেওয়া রক্তের নমুনায় ৪১.৬১ শতাংশ অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে আর মুম্বইয়ের ২৪টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা এই ১০ হাজার ১৯৭টি রক্তের নমুনায় ৩৬.৩০ শতাংশ অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।
জানা গেছে যে বিগত মার্চ মাস পর্যন্ত যাদের টিকা দেওয়া হয়নি এমন মানুষের মধ্যে থেকে এ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
পুরুষদের মধ্যে বেশি সংক্রমণ হওয়ার কারণ হিসেবে গবেষকদের দাবি, নারীদের তুলনায় পুরুষদের টি-কোষের সক্রিয়তা কম থাকে যা বিজ্ঞান বলছে। বিশেষত, জানা গেছে যে ভাইরাসের মোকাবেলা করতে নারীদের টি-কোষ যতটা সক্রিয়, পুরুষদের ততটা নয়। অথচ এই টি-কোষই শরীরের রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণে মূল অস্ত্র হিসেবে কাজ করে। এই কারণেই বলা হচ্ছে যে পুরুষদের ক্ষেত্রে করোনায় মৃত্যু ঝুঁকি অনেকটাই বেশি থেকে যাচ্ছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে করোনায় নারীদের মৃত্যুর হারও নাকি বেশ অনেকটাই কম দেখা গিয়েছে। আবার টিকা প্রয়োগেও নারীদের শরীরে নাকি এর দ্রুত ফল মিলছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.