মুম্বই: শূন্য রানে জীবন ফিরে পেয়ে ওয়াংখেড়েতে ধামাকা দেখালেন রবীন্দ্র জাদেজা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইনিংসে রবিবাসরীয় ডাবল-হেডারের প্রথম ম্যাচে ক্রিস গেইলের রেকর্ডে থাবা বসালেন ‘জাড্ডু’। ইনিংসের অন্তিম ওভারে হর্ষল প্যাটেলকে বেদম প্রহার করে ৩৭ রান সংগ্রহ করলেন সিএসকে’র ইউটিলিটি অল-রাউন্ডার।

আর অন্তিম ওভারে জাদেজার ৩৬ রান এল ৫টি ছক্কা সহযোগে এবং নো-বলের কারণে সিএসকে’র রানের খাতায় যোগ হল অতিরিক্ত এক রান। এক ওভারে পাঁচটি ছয় হাঁকিয়ে রেকর্ডের নিরিখে গেইলকে ছুঁয়ে ফেললেন ‘জাড্ডু’। তবে গেইল একা নন, গত মরশুমে মরু শহরে এক ওভারে ৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়াও। যদিও এক ওভারে সর্বাধিক রান সংগ্রহের নিরিখে অক্ষুণ্ণ থাকল না ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং মায়েস্ত্রোর রেকর্ড। এক ওভারে গেইলের সংগ্রহ করা ৩৬ রানের রেকর্ড ছাপিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে এক ওভারে সর্বাধিক ৩৭ রান সংগ্রহের নজির গড়ে ফেললেন ‘স্যার জাদেজা’।

১৯ ওভারে ১৫৪ থেকে ২০ ওভারে ১৯১ রানের পাহাড়ে পৌঁছে গেল ইয়েলো ব্রিগেড। এক লহমায় ম্যাচের পট-পরিবর্তন করে দিলেন জাদেজা। আর এক ওভারে ৩৭ রান দিয়ে এক অযাচিত রেকর্ড জুড়ে গেল হর্ষলের নামের সঙ্গেও। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামী ওভার উপহার দিলেন গুজরাত পেসার। অন্তিম ওভারে বল হাতে আসার আগে ৩ ওভারে ১৪ রান খরচ করে ৩ উইকেট ঝুলিতে ভরে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন হর্ষলই। ডু’প্লেসি, রায়না, রায়াডু’কে ডাগ-আউটে ফিরিয়েছিলেন তিনি।

এর আগে আইপিএলে সবচেয়ে দামি ওভারটি উপহার দিয়েছিলেন কোচি তাস্কার্সের প্রশান্ত পরমেশ্বরণ। ২০১১ আরিসিবি’র হয়ে খেলার সময় পরমেশ্বরণের এক ওভারে ৩৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন গেইল। অর্থাৎ, ১০ বছর পর গেইলের নজির ভেঙে নয়া নজির সেট করলেন জাদেজা।

উল্লেখ্য, চেন্নাই’য়ের দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে এদিন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আরসিবি’র ব্যাটিং লাইন-আপ। শুরুটা দেবদূত পারিক্কল ভালো করলেও বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সর্বসাকুল্যে ১২২ রান তুলতে সক্ষম হত বিরাটের দল। সর্বোচ্চ ১৫ বলে ৩৪ রান করেন পারিক্কল। ম্যাক্সওয়েল, ডি’ভিলিয়ার্স, ওয়াশিংটনের উইকেট তুলে নিয়ে বল হাতেও নায়ক সেই জাদেজা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.