অক্সিজেন নেই, অ্যাম্বুলেন্সে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা রোগীর, শোকজ নোটিস গুজরাতের হাসপাতালকে

হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাবে ‌রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে হাসপাতালের বাইরে দীর্ঘ চার ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর জন্য এসএসজি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্টকে শোকজ নোটিশ পাঠালেন ভদোদরার কোভিড–১৯–এর বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বিনোদ রাও। জানা গিয়েছে, ভদোদরার এসএসজি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন ছোট উদয়পুর জেলা থেকে রোগীরা। কিন্তু অক্সিজেনের অভাব থাকায় তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই চারঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। এই গাফিলতির কারণে কোভিড–১৯–এর ওএসডি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ রঞ্জন আইয়ারকে শোকজ নোটিস পাঠান।

অক্সিজেন নেই, অ্যাম্বুলেন্সে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা রোগীর, শোকজ নোটিস গুজরাতের হাসপাতালকে

শনিবার সন্ধ্যায় বিনেদ রাওয়ের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ আসার পর তিনি হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন এবং হাসপাতাল চত্ত্বরেই রাও এবং আইয়ারের মধ্যে তুমুল তর্কের সৃষ্টি হয়। আইয়ার জানিয়েছেন যে সিলিন্ডারগুলি পুনরায় ভরার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং হাসপাতাল এই অবস্থা সামলানোর চেষ্টা করছেন। যদিও আইয়ারের এই কৈফিয়ত রাওকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি, তাই রোগীকে তিন ঘণ্টার ওপর অপেক্ষা করানোর জন্য এটা হাসপাতালের '‌চরম অবহেলা’‌ বলে অভিহিত করা হয় এবং তার জন্য আইয়ারকে দায়ি করা হয়।

বিনোদ রাও আইয়ারকে শোকজ নোটিস জারি করে এবং হাসপাতালে জরুরি অবস্থার জন্য কেন অক্সিজেন সিলিন্ডার পর্যাপ্ত মজুত নেই সে বিষয়েও অনুসন্ধান করবেন বলে জানান বিনোদ রাও। বিনোদ রাও হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, '‌এটা চরম অবহেলা এবং আমি হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্টকে শোকজ নোটিস দিয়েছি। যদিও সমস্যাটি ১০ মিনিটের মধ্যে সমাধান হয়ে যায়। চারটের বেশি অ্যাম্বুলেন্স ছিল না এবং তাদের দ্রুত কোভিড সুবিধাযুক্ত সমারস হোস্টেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’‌

বিরোধীদের হয়ে তলে তলে প্রচার! একুশের ভোট চলাকালীন ৬ তৃণমূল নেতা সাসপেন্ড

যদিও কোভিড রোগীর এক আত্মীয়, যিনি ছোট উদয়পুরের বাসিন্দা, তিনি দাবি করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছিল যে রোগীদের ওয়ার্ডে দেওয়া যাবে না কারণ অক্সিজেন নেই। যদিও আইয়ার জানিয়েছেন যে এসএসজি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব নেই কিন্তু সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়ার অভাব দেখা দিয়েছিল হাসপাতালে। আইয়ার বলেন, '‌আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর এই নোটিসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছি। হাসপাতালের কোনও গাফিলতি ছিল না। অক্সিজেন সিলিন্ডার ভরার জন্য আমাদের গাড়ি বেরিয়েছিল যা একঘণ্টার মধ্যে চলে আসত। সময় মতো অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য আমরা শনিবার নতুন একটি এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করেছি।’‌