চাপের মুখে পড়েই নড়ল টনক, করোনার ভয়াবহতা আঁচ করে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা আমেরিকার

ভারতের করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার আঁচ করতে পেরে অবশেষে পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে দেখা গেল আমেরিকাকে। যা নিয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে। এদিকে দিন যত গড়াচ্ছে অক্সিজেনের সঙ্কট ততই তীব্রতর আকার ধারণ করছে গোটা দেশে। এমনকী এই প্রেক্ষাপটেও জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী রফতানিতে বিধিনিষেধ তোলেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় শুরু হতেই নড়েচড়ে বসল বাইডেন প্রশাসন। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

সাহায্যের হাত বাড়াল আমেরিকা

সম্প্রতি একটি টুইটবার্তায় ভারতে সহযোগীতার বার্তা দিতে দেখা যায় মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে। যাতে তিনি লেখেন ভারতের এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে আমরা তাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার দিকে এগোচ্ছি। ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সকলের জন্য আমরা ক্রমাগত বাড়তি সাহায্য দিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।

টুইট হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টারও

এদিকে এই টুইটের কিছুক্ষণ পরেই হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভ্যানও ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায়। ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা করে তিনি টুইটে লেখেন, "ভারতে গুরুতর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এই মহামারীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য ভারতের সর্বতোভাবে পাশে আছি। ওষুধ সরবরাহ এবং সহায়তা জোগানোর জন্য আমরা সর্বত ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।"

বড়সড় ক্ষতির মুখে ভারত

যদিও মার্কিন প্রশাসনের টনক নড়ার আগেই ভারতের বড়সড় ক্ষতি হয়ে গিয়ছে। ওষুধ রফতানিতে রফতানিতে মার্কিন প্রশাসনের বিধিনিষেধের কারণে কাঁচামাল পাঠানো হচ্ছিল না দীর্ঘদিন থেকেই। তার জেরে ৩৫ টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রীর জোগানে প্রভাব পড়ে। যা নিয়েই মূলত আলোড়ন তৈরি হয় আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে।

কবে কাটাবেন পায়ের প্লাস্টার, ইঙ্গিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

চাপ সৃষ্টি করে মার্কিন বণিক মহল

এমনকী শনিবারই ভারতে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সাহায্য করার বিষয়ে চাপ বৃদ্ধি করে মার্কিন বণিক মহল। চাপ সৃষ্টি করেন বিশিষ্ট ইন্দো-আমেরিকানরাও। তারপরেই বাইডেন প্রশাসনের ঘুম ভেঙেছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনার কবলে পড়েছেন প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭৬৭ জনের। বেলাগাম সংক্রমণ গোটা দেশে। সব মিলিয়ে রবিবার পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৬৯ লক্ষ ৬০ হাজার ১৭২।