বাগদাদ: ইরাকের রাজধানী বাগদাদের একটি হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন লেগে কমপক্ষে ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১২৯ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে করোনা সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।শনিবার গভীর রাতে ইবনে খাতিব হাসপাতালে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে অক্সিজেন ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণের পর এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে ইবনে আল-খতিবের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১১০ জন আহত হয়েছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মু্স্তাফা আল খাদিমি এই ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন। এই দুর্ঘটনার কারণ জানতে তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।যে রোগীরা এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হননি, তাঁদেরকেও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্য হাসপাতালে।
The fire caused many of the oxygen tanks designated to support the #COVID19 patients in the hospital to explode. #Baghdad so far dozens of victims have been reported. pic.twitter.com/OAC8Jt3jq3
— Steven Nabil (@thestevennabil) April 24, 2021
ইরাকের সিভিল ডিফেন্সের প্রধান জানিয়েছেন, হাসপাতালে প্রথম আগুন লাগে পালমোনারি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। ওখানে ভর্তি প্রত্যেক রোগীরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। ১২০ জন ভর্তি ছিলেন ওই বিভাগে। সেখান থেকে ৯০ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে অনেকেই বেঁচে নেই।
আপাতত আগুন নেভানো সম্ভব হয়ছে। এমনিতেই ইরাকের যুদ্ধ ও অবহেলায় চোটে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একেবারেই ভেঙে পড়েছে। ইরাকের হাসপাতালগুলো করোনাভাইরাস মহামারির ধকল সামলে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ, অবহেলা এবং দুর্নীতির কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল থাকার কারণে এমনটা হয়েছে।ইরাকে গত ফেব্রুয়ারি থেকে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং চলতি সপ্তাহে দশ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মহামারি শুরুর পর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত দেশটিতে ১০ লাখ ২৫ হাজার ২৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৫ হাজার ২১৭ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছে। গত মাসে টিকাদান কর্মসূচী শুরু করা হয়েছে এবং এরইমধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা তারা পেয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.