দেশ জুড়ে করোনার গ্রাফ যত উর্ধ্বমুখী হচ্ছে, ততই চাহিদা বাড়ছে অক্সিজেনের। গত কয়েক দিনে সামনে এসেছে একাধিক মর্মান্তিক ঘটনা।
অক্সিজেনের জন্যে হন্যে হয়ে খুঁজতে হয়েছে করোনা আক্রান্ত পরিবারকে। আবার কোথাও অক্সিজেনের অভাবে ঘটছে মৃত্যু।
এই পরস্থিতিতে অক্সিজেনের গাড়িকে যাতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেওয়া হয়, তার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র।
কারন বিভিন্ন রাজ্য থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করা হচ্ছে। শুধু দেশেই নয়, বিদেশ থেকেও অক্সিজেন আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জাপান। এবার অক্সিজেন দিয়ে ভারতকে সাহায্য করতে চলেছে রাশিয়াও।
রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ভারতের। ইতিমধ্যে রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিককে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারত। খুব শিঘ্রই রাশিয়ার এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
তবে একদিকে যখন ভ্যাকসিন নিয়ে প্রস্তুতি চলছে অন্যদিকে ক্রমশ করোনাতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়াছে। সংক্রমণের হিসাবে প্রত্যেকদিন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে।
তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যাও প্রত্যেকদিন বাড়ছে। এই অবস্থায় ভারতকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস রাশিয়ার।
এই মুহূর্তে ভারতে সবথেকে বেশি প্রয়োজন অক্সিজেনের। এই অবস্থায় ভারতকে মেডিক্যাল অক্সিজেন দেওয়ার প্রস্তাব দিল রাশিয়া।
শুধু অক্সিজেন নয়, করোনার চিকিৎসার অন্যতম ওষুধ রেমডেজিভির দেওয়ার ঘোষণা মস্কোর। ভারতের তরফে গ্রিন সিগন্যাল পেলেই ১৫ দিনের মধ্যেই অক্সিজেন এবং রেমডেজিভির ভারতে রাশিয়া পাঠাতে তৈরি বলে জানানো হয়েছে।
এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে এগুলি পাঠানোর ক্ষেত্রে। মস্কোর তরফে জানানো হয়েছে যে, প্রত্যেক সপ্তাহে তিন লক্ষ থেকে চার লক্ষ রেমডেজিভির ভারতে পাঠানো হবে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক সপ্তাহে তা আরও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, সবুজ সঙ্কেত পেলেই জাহাজে কএ ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে অক্সিজেন, এমনটাই জানানো হয়েছে রাশিয়ার তরফে।
অন্যদিকে, জার্মানি থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে ২৩ টি মোবাইল অক্সিজেন জেনারেশন প্লান্ট। গোটা দেশজুড়ে যখন অক্সিজেনের জন্যে হাহাকার পরিস্থিতি তখন প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে প্রত্যেকটি অক্সিজেন জেনারেশন প্লান্টের প্রতি মিনিটে অক্সিজেন উৎপাদন করার ক্ষমতা ৪০ লিটার, আর প্রতি ঘন্টায় ২৪০০ লিটার।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র এ ভারত ভূষণ বাবু জানিয়েছেন, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল সার্ভিস হাসপাতালগুলিতে রাখা হবে প্লান্ট গুলি। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে সেগুলি। প্রয়োজনে সেখান থেকে তৈরি হওয়া অক্সিজেন সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
জার্মানি, রাশিয়া করোনা বিপর্যস্ত ভারতকে ইতিমধ্যে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছ। পাশাপাশি চিনের তরফেও করোনা মোকাবিলায় ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।