কলকাতা: নতুন বছরের শুরুতেই দুর্গাপুজোর ঘোষণা করল ক্লিক ফ্যামিলি। তবে এই দুর্গাপূজা হবে সম্পূর্ণ একান্নবর্তী পরিবারের। কিন্তু দুর্গাপূজা করাটা অত সহজ হবে না। কোন প্রশ্ন আসতেই পারে একটি দুর্গা পুজো করবে একান্নবর্তী পরিবার তাতে সমস্যা কোথায় বা বাঁধ সাধল কে? আসলে উত্তর কলকাতার একান্নবর্তী পরিবারের পেল্লায় বাড়িগুলি ক্রমশই চলে যাচ্ছে প্রোমোটারদের দখলে। বহু স্মৃতি মায়া মমতা এবং ভালোবাসার ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে তৈরি হচ্ছে মাল্টিপ্লেক্স শপিংমল বা অ্যাপার্টমেন্ট। পারিবারিক বন্ধনের কাছে কীভাবে এই প্রোমোটার শক্তি হার মেনে যায় তার গল্পই উঠে আসবে রূপকথার রেডিওতে।
চৌধুরী পরিবার এবং পাড়ার বিত্তশালী প্রোমোটারের এই দ্বন্দ্ব প্রতিফলিত হবে সায়ন দাশগুপ্তের পরিচালনায় বিশ্বনাথ বসু,লামা হালদার, সুজাতা দে, সমীর বিশ্বাস,তরুণ চক্রবর্তী, পিংকি ব্যানার্জি, দেবনাথ চ্যাটার্জি, অত্রি ভট্টাচার্য্য, নিশান্তিকা দাস, অরিজিৎ দাস এর অভিনয়ে।
এই ওয়েব সিরিজের খেলার শুরুতেই দেখা যাচ্ছে পাড়ার ভবতোষ প্রোমোটার প্রচন্ড রাগী চোখে প্রায় কোন ষড়যন্ত্রের অভিসন্ধি নিয়ে অষ্টমীর রাতে চৌধুরী পরিবার নিয়ে আলোচনা করছে। অন্যদিকে তখন বাতাসে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহালয়ার সুর। অর্থাৎ আগমনীর বন্দনায় মেতে উঠছে সে পাড়া। প্রকৃতি যখন উৎসবে মাতোয়ারা তখনই এই লোভী প্রোমোটার নিজের অভিসন্ধির ছক কষছে। আবার কোথাও পাড়ার কাউকে হুমকি দিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলছে। অন্যদিকে চৌধুরীবাড়ির আনাচে-কানাচে কোথাও ত্রিশ লক্ষ টাকা জোগাড় করার চিন্তা আবার কোথাও আগামী তিন মাস কীভাবে চলবে তা নিয়ে দায়িত্ব নিচ্ছেন স্ত্রী নিজে। অন্যদিকে বাড়ির একমাত্র নাতনি বিরক্ত হয়ে শেষ অবধি দাদু ঠাকুমার বুকেই আশ্রয় নিচ্ছে। সম্পর্কের জটিলতা থাকলেও কোথাও যেন এই চৌধুরী পরিবার একটা সূত্রেই এক হয়ে আছে । তা হল ভালোবাসা বা পারিবারিক বন্ধন। কিন্তু শেষ অবধি শেষ রক্ষা হবে কীভাবে উত্তর পাওয়া যাবে রূপকথা রেডিও দেখার পরই।
সম্প্রতি এঞ্জেল স্টুডিওতে নাচে গানে খাওয়া-দাওয়া এবং আড্ডা ও হুল্লোড়ে হয়ে গেল এই সিরিজের লঞ্চ।