শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : করোনা সংক্রমণ রাজ্যে ভয়াল আকার ধারণ করছে। জেলায় জেলায় বাড়ছে মৃত্যু, বাড়ছে উদ্বেগ। কিন্তু মানুষের চেতনায় চৈতন্য ফেরেনি। চিকিৎসকরা বলছেন করোনার চেন ভাঙতে না পারলে কমবে না করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতা, নদীয়া, কৃষ্ণনগর জুড়ে আমাদের কাছে করোনা রোগীদের মৃত্যুর খবর এসেছে। যাদের দেহ বাড়িতে পরে থাকার পর প্রশাসনকে বলেও দীর্ঘ সময় কিছু সমাধানের রাস্তা বার হয়নি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে মানুষ করোনা আক্রান্ত মানুষের দেহ সৎকারের জন্য এগোতেও ভয় পাচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, “রাজনীতির ঘোলা জলে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। হাসপাতালে বেড নেই, ভ্যাকসিন নেই, মৃতদেহ সৎকারের জায়গা নেই, এটা দেশের ছবি। রাজ্যেরও সেই একই অবস্থা হতে চলছে। তাই এখন রাজনীতির প্রচার বন্ধ হোক।”

পুজোর সময় থেকে যখন করোনা সংক্রমণ কমছিল তখন চিকিৎসকরা বলে আসছিলেন একটা ভাইরাসের মিউট্যান্ট হতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগে। ঠিক সেই সময় পরই রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ধেয়ে এসেছে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রকে জাতীয় পরিকল্পনা করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

এদিকে অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন কথা উঠছে। চিকিৎসকরা বলছেন, “বাড়িতে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করা উচিত। অক্সিজেন দিতে হলে সেটা হোক সেফ হোম বা হাসপাতালে। না হলে অক্সিজেনের কৃত্রিম চাহিদা কমবে না। ভারতে ৭ হাজার মেট্রিকটন অক্সিজেন দৈনিক তৈরী হয়। তাই করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলেও অক্সিজেনের ঘাটতি হচ্ছে।”

তবে এতো কিছুর পরেও মানুষের চেতনা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। কেননা করোনার মধ্যেই ২০২০ তে মানুষ দুর্গাপুজোয় পথে নেমেছে। এই বছর চৈত্র সেলে মানুষের ভিড় উপছে পড়েছে বিভিন্ন বাজারে, শপিং মলে। বাসে চালক, কন্ডাক্টর মাস্ক পড়ছেন না। অটো রিকশোতে পিছনে ৩ জন এবং সামনে, চালকের পাশে একজন যাত্রী বসে যাচ্ছেন। বাজারে বিক্রেতারা মাস্ক পড়ছেন না। বহু ক্রেতা বাজারে যাচ্ছেন মাস্ক ছাড়া। অথচ সবাই ছুটছেন নিজের খেয়ালে। এর শেষ কোথায়? প্রশাসন কেন এখনও করোনা বিধি যারা মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলছেন সমাজের বিশিষ্টরা। কলকাতা হাই কোর্ট বলছে মাস্ক পরা আবশ্যিক করার কথা। কিন্তু সবার আগে মানুষকে সচেতন হতে হবে, না হলে এই মৃত্যু মিছিল বন্ধ করা যাবে ন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.