ভোট মিটলেই তিন সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা তৃণমূলের, শিশির-দিব্যেন্দু-সুনীলকে নিয়ে জল্পনা

২০১৯-এর নির্বাচনে বাংলা থেকে তৃণমূল পেয়েছিল ২২ জন সাংসদ আর বিজেপি পেয়েছিল ১৮ জন। তারপর ২০২১-এ দলবদলের খেলায় তৃণমূল দু-জন সাংসদকে হারিয়ে নেমে আসে ২০-তে। বিজেপি দুই সাংসদকে দলে পেয়ে বেড়ে হয় ২০। অর্থাৎ তৃণমূল ও বিজেপির অবস্থান এখন ২০-২০। তৃণমূল অবশ্য আরও এক সাংসদকে খরচের খাতায় ফেলে দিয়েছে।

দলের কোনও যোগাযোগ নেই, তালিকায় রয়েছে তিনজন

এবার ভোট মিটলেই তিন সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে তৃণমূল কংগ্রেস। যে সমস্ত সাংসদের সঙ্গে এই মুহূর্তে দলের কোনও যোগাযোগ নেই, সেই তালিকায় রয়েছে তিনজন। তার মধ্যে শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডল ইতিমধ্যে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আর দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই।

তিন সাংসদের পদ খারিজের আবেদন জানাবে তৃণমূল

বাংলায় বিধানসভা ভোট মিটলেই তিন সাংসদের পদ খারিজের আবেদন জানাবে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে এই আবেদন জানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সুনীল মণ্ডল, শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী তিনজন ২০১৯-এ তৃণমূলের টিকিটে যথাক্রমে বর্ধমান উত্তর, কাঁথি ও তমলুক থেকে বিজয়ী হন।

ভোট মিটলেই তিন সাংসদের বিরুদ্ধে স্পিকারের দ্বারস্থ

শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দিনই বর্ধমান উত্তরের সাংসদ সুনীল মণ্ডল তাঁর সঙ্গী হন। আর ভোট চলাকালীন অমিত শাহের সভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন শিশির অধিকারী। দিব্যেন্দু বিজেপিতে যোগ দেননি, কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। তিনজনের পদ খারিজের জন্যই চিঠি দেবে তৃণমূল।

অধীরের মুর্শিদাবাদে নয়া সমীকরণের বার্তা আব্বাসের! নবাব-গড়ে লড়াই এবার চতুর্মুখী

৩ সাংসদের পদ নিয়ে সম্মুখ সমরে তৃণমূল ও বিজেপি?

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি যদি ভালো ফল করে বাংলার নির্বাচনে, তখন তিনজনকেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিতে বলা হবে। সেক্ষেত্রে তাঁদের উপনির্বাচনে জিতিয়ে আনা হতে পারে। আর বিজেপি যদি ভালো ফল না করতে পারে, তখন তিনজনের সাংসদ পদ রেখে দেওয়ার ব্যাপারে বিজেপি লড়াই চালাতে পারে। তখন স্পিকার তৃণমূলের আর্জি রাখবে কি না সন্দেহ।

তৃণমূল তিনজনকে সাসপেন্ড করতে পারে ভোট মিটলেই

তৃণমূলের চিঠির পরও যদি স্পিকার তিনজনের সাসংদ পদ খারিজ না করেন, তখন তৃণমূল তিনজনকে সাসপেন্ড করতে পারে। তখন তৃণমূলের অনুমতি ছাড়া তাঁরা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না। ভোটাভুটিতেও অংশ নিতে পারবেন না। প্রকাশ্য কোনও বিলে বিজেপিকে সমর্থনও জানাতে পারবেন না।