কোভিডের আপৎকালে সিংঘু সীমান্তের একাংশ ছাড়তে রাজি কৃষক নেতারা, বড় বার্তা পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি

কোভিড পরিস্থিতি ঘিরে গোটা দেশে আপৎকালীন অবস্থা। এরই মাঝে অক্সিজেন সরবরাহ ইস্যুতে বড়সড় সংকটের মুখে দেশ। এদিকে,হরিয়ানা সরকারের সঙ্গে দেশের কৃষক সংগঠন সংযুক্ত মোর্চার বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে কয়েকদিন আগেই। আর তারপরই দেশের আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বড়সড় ঘোষণা করেছে কৃষক সংগঠনগুলি।

রাস্তা অবরোধ ও কৃষকদের বার্তা

প্রসঙ্গত, ৩ টি কৃষি আইন সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার দাবিতে সরব হয়ে গত ২৬ নভেম্বর থেকে ধরনার রাস্তা ধরেন দেশের একাধিক কৃষক সংগঠনের নেতারা। এদিক, দিল্লি সীমান্তের সিংঘুতে এখনও তাঁদের অবস্থান রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ,এই সিংঘু সীমান্তে কৃষকদের অবস্থানের জেরে করোনার আপৎকালে অক্সিজেনবাহী ট্রাক চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। যে অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ করেছে কৃষক সংগঠনগুলি।

কৃষক সংগঠনের দাবি

দিল্লির সীমান্তে অবস্থানরত কৃষক সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে সিংঘু সীমান্তের একাংশ তাঁরা ছেড়ে দেবেন। পাশাপাশি,তাঁরা জানিয়েছেন এই অংশ দিয়ে যাতে সহজে পরিবহন চলতে পারে সেবিষয়ে তাঁরা খেয়াল রাখবেন। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার দাবি , রাস্তা অবরোধের জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, তাহলে তা মোদী সরকার। সরকারের ৩ কৃষি আইনের জন্যই তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।

ধরনায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ডাক

প্রসঙ্গত, কৃষকরা তাঁদের এই ধরনায় পরিযায়ী শ্রমিকদেরও আহ্বান জানিয়েছেন যোগ দিতে। কৃষকদের দাবি পেটের দায়ে , লকডাউনের আশঙ্কায়, কাজ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে যেভাবে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন,তাতে মোদী সরকারের ব্যর্থতা দায়ী। এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে মিলে কৃষকরা আন্দোলনের রাস্তায় যেতে চায়।

অবস্থানে অনড়

প্রসঙ্গত, কৃষক আন্দোলন যে সুর ধরে শুরু হয়েছিল, প্রবল করোনা কাঁটার মাঝেও সেই সুরেই দৃঢ় কৃষকরা। তাঁরা এখনও দাবি করছেন যে ৩ টি কৃষি আইন যাতে প্রত্যাহার করা হয়।