কাঠমান্ডু: গোটা পৃথিবী আজ করোনা আক্রান্ত। লোকালয় ছাড়িয়ে করোনা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত এলাকায়। তার একটি জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ মাউন্ট এভারেস্ট। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গের বেসক্যাম্পেও পৌঁছেছে করোনা ভাইরাস। বসন্তকালের ক্লাইম্বিং সেশন থেকে যখন বিদেশিরা ফিরে এল তখন তাঁদের মধ্যে একজনের শরীরে পাওয়া গেল করোনা ভাইরাস।
ওই ব্যক্তি নরওয়ের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক পরীক্ষায় কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে। ফলে যাঁরা এভারেস্ট বয় করতে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্য়েও করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত বছর নেপালও ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা মহামারী। তখন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছিল নেপাল। কিন্তু তারপর কোয়ারেন্টাইন নিয়ম অনেকটাই শিথিল করে দেয় তারা। ফলে অনেকেই ফের এভারেস্ট জয় ও এভারেস্টের বেসক্যাম্প পর্যন্ত পৌঁছতে আগ্রহী হয়। কিন্তু এখন নরওয়ের এই অভিযাত্রীর শরীরে করোনা মেলায় চিন্তায় নেপাল সরকার। ওই অভিযাত্রীর নাম আর্নেল্ড নেস। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর খেয়াল রাখছে।
নেস করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর এভারেস্টের বেসক্যাম্প থেকে তাঁকে হেলিকপ্টারে করে কাঠমান্ডুর একটি হাসপাতালে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে তাঁর দলের ৫ জন শেরপাও করোনা আক্রান্ত। নেস একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, তাঁরা আশা আর কেউ পাহাড়ের উঁচু ওই জায়গায় করোনায় আক্রান্ত হবে না। ৮ হাজার মিটারের উপরে গেলে কাউকে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নিয়ে আসা অসম্ভব। তার উপর উচ্চ উচ্চতায় শ্বাসপ্রশ্বাসের এমনিই সমস্যা দেখা দেয়। সেখানে পর্বতারোহীরা করোনায় আক্রান্ত হলেই সমস্যা আরও বাড়বে। নেস আরও জানিয়েছেন তাঁরা যাতে সংক্রমিত না হন তার জন্য পাহাড়গুলিতে দ্রুত উঠে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার আগেই তিনি করোনা আক্রান্ত হন।
কাঠমান্ডুর হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ তথ্য তাঁরা দিতে না পারলেও এটুকু জানাতে পারেন যে এভারেস্টের বেসক্যাম্প থেকে আগত একাধিক জনের করোনা ধরা পড়েছে। যদিও নেপালের পর্যটন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এ নিয়ে তাঁদের কাছে কোনও খবর নেই। এভারেস্টের বেসক্যাম্প থেকে একজনকে কাঠমান্ডুতে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাঁর নিউমোনিয়া হয়েছে। আইসোলেশনে রেখে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.