কলকাতা: দেশে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা বেশ আঘাত হেনেছে। ত্রান পায়নি বাংলাও। এরাজ্যেও মাথাচারা দিয়েছে উঠেছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ভক্তদের জন্য বাগবাজারের ‘শ্রী শ্রী মায়ের বাড়ি’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল মন্দির কর্তৃপক্ষ।
আগামী ২৬ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মনে করা হচ্ছে, করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায়, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য ফের একবার মন্দির বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হল মন্দির কর্তৃপক্ষকে।
আরও খবর পড়ুন – এক চার্জে ছুটবে ২৫০ কিমি, বাজারে OLA ইলেকট্রিক স্কুটার
উল্লেখ্য, করোনার প্রথম ওয়েভের সময়ও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল বাগবাজারের মায়ের বাড়ির দরজা। পরে সংক্রমণের মাত্রা একটু কমলে ২০২০ সালেই ফের মন্দির খোলা হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় আবার সংক্রমণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও একবার সময়পযোগী সিদ্ধান্ত নিল মন্দির কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য,সারদা দেবী (২২ ডিসেম্বর ১৮৫৩ – ২০ জুলাই ১৯২০) ছিলেন উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের পত্নী ও সাধনসঙ্গিনী এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সংঘজননী। ভক্তগণ তাকে শ্রীশ্রীমা নামে অভিহিত করে থাকেন। রামকৃষ্ণ আন্দোলনের বিকাশ ও প্রসারে তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
জয়রামবাটী গ্রামে সারদা দেবীর জন্ম। তার বিবাহপূর্ব নাম ছিল সারদামণি মুখোপাধ্যায়।মাত্র পাঁচ বছর বয়সে শ্রীরামকৃষ্ণের সহিত তার বিবাহ হয়। তার জীবনীকারদের মতে, গার্হস্থ ও সন্ন্যাস জীবনের আদর্শ স্থাপন করার জন্য তারা উভয়ে অবিচ্ছিন্ন ব্রহ্মচর্যের অনুশীলন করে জীবনযাপন করতেন। শ্রীরামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর অবশিষ্ট জীবন সারদা দেবী অতিবাহিত করেন জয়রামবাটি ও কলকাতার উদ্বোধন ভবনে।
তীর্থযাত্রার শেষে সারদা দেবী কয়েকমাস কামারপুকুরে বাস করেন। ওই সময় একাকী অত্যন্ত দুঃখকষ্টের মধ্যে দিয়ে তার জীবন অতিবাহিত হতে থাকে। ১৮৮৮ সালে এই খবর শ্রীরামকৃষ্ণের ত্যাগী শিষ্যদের কানে পৌঁছলে তারা তাকে কলকাতায় নিয়ে এসে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.