নয়াদিল্লি: করোনায় বিপর্যস্ত গোটা দেশ। গত তিনদিন আক্রান্তের সংখ্যা পার করছে তিন লক্ষের গন্ডি।হাসপাতালগুলোতে শুরু হয়েছে অক্সিজেনের হাহাকার।বেডের অভাব দেখা দিয়েছে।মারা যাচ্ছে একের পর এক মানুষ।এবার তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। এবার করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করলেন রাহুল গান্ধী।

রাহুল গান্ধী এদিন টুইট করে বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের অভাব এবং আইসিইউ বেডের অভাবে অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।এর সম্পূর্ণ দায় ভারত সরকারের।

Corona can cause a fall in oxygen level but it’s #OxygenShortage & lack of ICU beds which is causing many deaths.

GOI, this is on you.

— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 23, 2021

দিল্লির বেশ কয়েকটি হাসপাতালে বৃহস্পতিবারেই অক্সিজেনের জোগান তলানিতে এসে ঠেকে। অক্সিজেনের জন্য কাতর আর্তি শোনা যায়। এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে রীতিমতো ভর্ত্সনা করে দিল্লি হাইকোর্ট। সাফ জানানো হয়, হাসপাতালে অক্সিজেনের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। জীবনের অধিকারের মতো মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজন হলে সরকারের উচিত শিল্পক্ষেত্রে পাঠানো সব অক্সিজেন মেডিক্যাল ব্যবহারের কাছে ফিরিয়ে আনা।

এর আগে কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে শিল্পপতিদের স্বার্থরক্ষা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। দেশবাসীর বিপদের সুযোগ নিচ্ছে বিজেপি।উল্লেখ্য,বুধবার সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে বলা হয়েছে সমস্ত রাজ্য সরকারকে কোভিশিল্ডের প্রতিটি ডোজের জন্য খরচ করতে হবে ৪০০ টাকা। অর্থাৎ দু’টি ডোজের জন্য লাগবে ৮০০ টাকা। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজের দাম ধার্য করা হয়েছে ৬০০ টাকা। যদিও কেন্দ্র ১৫০ টাকার বিনিময়েই প্রতিটি ডোজ পাবে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৩০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২৬৩ জনের। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৬২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯২০ জনে। অ্য়াক্টিভ মামলার সংখ্যা ২৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৬১৬।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.