করোনা রুখতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স রাজ্যের, বাংলায় এই পরিস্থিতি সামলে নেব, আশ্বাস মমতার

সারা দেশের সঙ্গে বাংলাতেও করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্রত্যেকদিনই উত্তরোত্তর বাড়ছে করোনাতে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে দৈণিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার পৌঁছে গিয়েছে। সারা দেশেই অক্সিজেন যোগানের সংকট দেখা দিয়েছে। বাংলাতেও ছবিটা এক। এখানেও সেভাবে অক্সিজেনের একটা বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ টাস্ক ফোর্স রাজ্যের। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন যেভাবে গতবার করোনা সামাল দেওয়া হয়েছিল এবারও সেভাবেই দেওয়া হবে। মানুষকে শান্ত থাকার আবেদন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের।

মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের টাস্ক ফোর্স

মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে অ্যাপেক্স টাস্ক ফোর্স গড়ল রাজ্য। কোভিড মোকাবিলায় এই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ছ'জনকে নিয়ে এই টাস্ক ফোর্স। কলকাতা পুলিশ কমিশনার, রাজ্য পুলিশের ডিজি, অর্থ দফতরের সচিব, স্বাস্থ্য দফতরের সচিব, পঞ্চায়েত দফতরের সচিব ও হোম অ্যান্ড প্লানিং দফতরের সচিব রয়েছেন‌ টাস্ক ফোর্সে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের টাস্ক ফোর্স। আজ শুক্রবার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। অক্সিজেনের জোগান এবং কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।

জেলায় জেলায় সমন্বয়

জেলায় জেলায় সমন্বয় রক্ষা করবে এই টাস্ক ফোর্স। এই অ্যাপেক্স টাস্ক ফোর্স মূলত জেলার যে সমস্ত কোভিড অবজারভার রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। এই টাস্ক ফোর্সকে সাহায্য করার জন্য আরও একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিবকে মাথায় রেখে সেই টাস্ক ফোর্স গঠিত হয়েছে। সেখানে ছ'জন শীর্ষ আইএস অফিসারও রয়েছেন। মূলত অ্যাপেক্স টাস্ক ফোর্সকে সবরকমভাবে সাহায্য করাই এই টাস্ক ফোর্সের কাজ হবে।

রিপোর্ট তৈরি করবে পাঁচ সদস্যের কন্ট্রোল রুম

জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে কত মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপন্ন হয়, সে বিষয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করবে পাঁচ সদস্যের কন্ট্রোল রুম। শুধু তাই নয়, এই মুহূর্তে চাহিদা কত রয়েছে অক্সিজেনের, এমনকি, জোগান কত, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। এমনকি রিপোর্টও দেবে তাঁরা। অন্যদিকে, প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কত অক্সিজেন মজুত রয়েছে তা দেখবে কন্ট্রোল রুম। প্রতিটি কোভিড হাসপাতালে কত অক্সিজেন লাগতে পারে তার রূপরেখাও তৈরি করবেন পাঁচ সদস্যের এই টিম। ন্যাশনাল হেলথ পোর্টালে চাহিদা-জোগানের তথ্যপঞ্জি তৈরি, প্রতি সপ্তাহে মেডিক্যাল অক্সিজেনের পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়বে।

কোভিড বৈঠকে ডাকা হয়নি, ডাকলে নিশ্চই যেতাম, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে দায়ী করে তোপ মমতার

প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেওয়া যাবে না অক্সিজেন

অস্কিজেন নিয়ে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। ফলে আতঙ্কে অনেকেই বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজিত করে রাখছেন। এই অবস্থায় কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এবার থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেওয়া যাবে না অক্সিজেন সিলিন্ডার। এমনটাই সূত্রের খবর।

কেন্দ্রকে তোপ মমতার

আজ শুক্রবার ফের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতিতে দেশে অক্সিজেনের সংকটের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতির দিকেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মমতা বলেন, ‘ডব্লিউএইচও অক্সিজেন মজুত রাখার কথা বলেছিল। সেই কথা শোনেনি কেন্দ্র। কারও সঙ্গে আলোচনা করেনি। আমরা বাংলায় এই পরিস্থিতি সামলে নেব। নির্বাচনের থেকেও মানুষের জীবনের মূল্য বেশি। জেলায় জেলায় করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছি। ভার্চুয়াল সভার ব্যবস্থা করেছি। কোভিড নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকুন।' শান্তিপূর্ণভাবে কোভিডবিধি মেনে সবাইকে ভোট দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।

Know all about
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।