ঘুরতে যাওয়া এক নেশার মত, যাঁরা এই নেশায় একবার অভ্যস্ত হয়েছেন বছরে কয়েকবার তাদের না ঘুরলেই নয়। কিন্তু শেষ একবছরকরোনা ভাইরাসের দাপটে সব সামলে আর ঘুরে হওয়া হয়ে ওঠেনি। কাজের চাপ ও বাড়ছে দিন দিন। আর যে ভাবে সংক্রমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে বাইরের কোনো রাজ্যেও ঘুরতে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু দীর্ঘদিন কোথাও ঘুরতে না যাওয়ার ফলে মনে যে ধুলো জমে আছে তা ঝেড়ে ফেলতে হবে। নিজেকে প্রাণশক্তিতেভরিয়ে তুলতে কোথাও একটা যাওয়া দরকার। হোক না উইকএন্ডে ১-২ দিনের জন্য ঘুরে আসা। আজ রইলো সেরকমই এক ঘুরতে যাওয়ার ঠিকানা, নাম ঝাড়গ্রাম।

ঝাড়গ্রাম বাংলার নবগঠিত একটি জেলা।ঝাড়গ্রাম এক সময়মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা ছিল। রাতদিন খুন খারাপিলেগেই থাকত। কিন্তু সেই সব এখন অতীত, সরকারের উদ্যোগে মাওবাদীরা ফিরেছে জীবনের মূলস্রোতে। হেসে উঠেছে সাধের ঝাড়গ্রাম। যাঁরা জঙ্গল ভালোবাসেন, নির্জন ঘন সবুজের মাঝে রোমাঞ্চ উপভোগ করতে চান, ঝাড়গ্রাম শাল মহুলের জঙ্গল তাদের নিরাশ করবে না, উপরি পাওনা নানা পাখির সুর মেলানো মিষ্টি ডাক।

কি ভাবে যাবেন: ঝাড়গ্রামের দূরত্ব কলকাতা থেকে প্রায় ১৫৭ কিমি। হাওড়া থেকে ট্রেন পাবেন ঝাড়গ্রাম যাওয়ার। সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। এছাড়াও কলকাতা থেকে গাড়ি নিয়েও যেতে পারেন।

কোথায় থাকবেন: থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল আছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিথি নিবাসেও থাকতে পারেন। খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও ভালো। এক্ষেত্রে থাকার যায়গা আগে থেকে বুক করে যাওয়া ভালো

কি কিঘুরবেন: একটি গাড়িভাড়া করে ঘুরে দেখুন বেলপাহারী। এখানে ট্রেকিং ব্যবস্থাপনা আছে। ঘুরে দেখুন চিল্কিগররাজবাড়ী ও ঝাড়গ্রামরাজবাড়ী। এখানে থাকার ব্যবস্থাও আছে। রাজকীয় ভাবে একটি দিন কাটাতে চাইলে এখানে থাকতে পারেন। ঝাড়গ্রামের অন্যতম আকর্ষণ ঘাগড়া ফলস।

ঝর্নার নেমে আসা জল আপনার মন ভালো করে তুলবে। ঝাড়গ্রামে একটি মিনি জু বা চিড়িয়াখানা আছে, ঘুরে দেখতে পারেন সেটাও। ঝাড়গ্রামে অতি প্রাচীন ও জাগ্রত কনকদূর্গা মন্দির অবশ্যই দেখা চাই।কনকদুর্গা মন্দিরের চারপাশে আছে বিভিন্ন ঔষধি গাছের জঙ্গল। কাছেই আছে ডুলুং নদী যার দৃশ্য অপরূপ। জঙ্গলে বিভিন্ন পশু পাখি ও হনুমানের অবাধ বিচরণ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.