করোনা বৃদ্ধির মাঝে নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ কেন্দ্রের, কি রয়েছে তাতে দেখে নিন এক নজরে

দেশজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাস। বিভিন্ন রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবনতি দেখা দিচ্ছে। নেই বেড, অক্সিজেনের অভাব প্রায় সব রাজ্যেই। এরকম পরিস্থিতিতে আইসিএমআর ও দিল্লির এইমস কোভিড–১৯ চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন নির্দেশিকা জারি করল। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নয়া এই নির্দেশিকায় বিশেষজ্ঞরা করোনা সংক্রমিত গুরুতর অসুস্থ, মাঝারি এবং স্বল্প অসুস্থ ব্যক্তিদের দ্রুত সেরে ওঠার পরামর্শ দিয়েছেন। মহামারির এই সময়ে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে রেমডেসিভির, টোকিলিজুমাব এবং কনভ্যালাসেন্ট প্লাজমা ব্যবহারের বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তবেই এই ওষুধের ব্যবহার, নতুবা এমনিতে তাদের কোনও ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছে আইসিএমআর ও এইমস।

রেমডেসিভির ও প্লাজমার ব্যবহার

এইমস, আইসিএমআর-কোভিড-১৯ জাতীয় টাস্ক ফোর্স এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় থাকা যুগ্ম পর্যবেক্ষণের দলের প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুযায়ী, মাঝারি বা গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে রেমডেসিভির ও প্রাথমিক মাঝারি রোগের ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেওয়ার সাতদিনের আথা প্লাজমা দেওয়া যেতে পারে।

কখন ব্যবহার করতে হবে

নতুন নিয়ম অনুযায়ী সাতদিন আগে ছাড়া কনভ্যালাসেন্ট প্লাজমা ব্যবহার করা উচিত নয় এবং রেমডেসিভির কেবল তাঁদেরকেই দেওয়া উচিত যাঁদের মূত্রাশয় সম্পর্কিত কোনও রোগ বা হেপাটিক ডিসফাংশান নেই। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এও বলা হয়েছে যে, ‘‌অক্সিজেন সাপোর্টে নেই এমন রোগীকেও এগুলি দেওয়া উচিত নয়'‌।

কঠোরভাবে মানতে হবে নিয়ম

শুধু তাই নয়, আইসিএমআর এবং এইমস তাঁদের নয়া গাইডলাইনে মহামারি রুখতে যে বিষয়গুলি কঠোর ভাবে মেনে চলতে বলেছেন তা হলঃ

১. প্রতিদিনই ভয় ধরাচ্ছে মারণ করোনা। ফলে এখনও অনেক দিন মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব। প্রকাশ্যে এবং জনবহুল স্থানে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা জরুরি এই সময়।

২. শরীরে কোনওরকম করোনার লক্ষণ বা অসুস্থ বোধ করলে নিজেকে আইসোলেট রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।

৩. হ্যান্ড গ্লাভস, ফেস শিল্ড এবং জনবহুল স্থানে মাস্ক পরতে হবে।

৪.‌ বাইরে থেকে এসে নিজেদের পোশাক জীবণুনাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সঙ্গে সঙ্গে।

৫. শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে শরীরের তাপমাত্রা মাপা এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশন চেক করা দরকার।

৬. করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ ছোটো থেকে বড়ো সবাইকে সংক্রমিত করছে। ফলে বাড়ির আট থেকে আশি সকল সদস্যের এই সময় সচেতন এবং সুরক্ষিত থাকা দরকার।

৭. বাড়ির বয়স্ক সদস্য উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, প্রেশার, ডায়াবেটিস রয়েছে এমন রোগীদের জন্য বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। এছাড়াও কেউ অসুস্থ হলে নিজে থেকে ওষুধ না খেয়ে ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ খাওয়ান।

৮. এছাড়াও সবসময় মনে রাখতে হবে মহামারি এখনও শেষ হয়ে যায়নি। কোনওরকম অসাবধানতা ডেকে আনতে পারে আরও বড় কোনও বিপর্যয়। ফলে নিজে সুস্থ এবং সতর্ক থাকুন ও অপরকে ভালো রাখুন।