প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ ছুঁই ছইঁ দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, বাড়ছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যায়

দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গতকাল যেখানে ছিল ৩ লক্ষ ১৪ হাজাের কিছু বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে হয়েছে ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৩০। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গিয়েছেন ২২৬৩ জন। বাড়ছে দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা। আজই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রী

দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা আজ ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলি কী পদক্ষেপ করছে তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে অক্সিজেন সংকট নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে আবার রাজ্যগুলির অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক হচ্ছে কিনা তা তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

রেকর্ড দৈনিক সংক্রমণ

করোনা পরিস্থিতি দেশে খারাপের দিকে যাচ্ছে। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ১০টি রাজ্যেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ৭৫ শতাংশ করোনা সংক্রমণএই ১০টি রাজ্যেই হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি। এই রাজ্যগুলিতে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৩০ জন। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১, ৬২,৬৩,৬৯৫। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,২৬৩জন।

ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে বিতর্ক

দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি করছে মোদী সরকার। কেন্দ্র ও রাজ্যের সঙ্গে দামের ভেদাভেদ তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্র যে ভ্যাকসিন ১৫০ টাকায় পাচ্ছে রাজ্যগুলিকে সেই ভ্যাকসিন ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আবার বেসরকারি হাসপাতালগুলি সেই ভ্যাকসিন ৬০০ টাকায় কিনবে। সিরাম ইনস্টিটিউট এমনই দাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। এই নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণে বিঁধেছেন বিরোধীরা।

পশ্চিমবঙ্গে প্রচার বন্ধ

করোনা পরিস্থিিত অত্যন্ত খারাপ দিকে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে ভোটের প্রচার বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। রাজ্যে এসে তাঁরা কোনও মিটিং মিছিল জনসভা করবেন না। শেষ দুই দফা ভোটের জন্য ভার্চুয়াল সভা করবেন তাঁরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রচার বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে। তিনি শেষ দুই দফার প্রচার ভার্চুয়াল করবেন বলে জানিয়েছেন।