২০২০ সালের পর ২০২১- এ আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে চারিদিকে শুধুই আতঙ্ক আর উদ্বেগ।
মার্কিন একটি রিপোর্ট বলছে, ভারতে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছবে যে প্রত্যেকদিন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হবে পাঁচ হাজার মানুষের। এপ্রিল থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে ৩ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সেই রিপোর্টে।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ইনস্টিটিউট অফ হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। গত ১৫ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে কভিদ ১৯ প্রজেকশন শিরোনামে ওই রিপোর্ট। বর্তমানে ভারতের সংক্রমণের যে হার তার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
রিপোর্টে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে তাতে, মে মাসের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১০ মে দিনে ৫৬০০ জনের মৃত্যু হতে পারে। ১২ এপ্রিল থেকে ১ অগাস্টের মধ্যে মৃত্যু হবে মোট ৩ লক্ষ ২৯ হাজার। জুলাইয়ের শেষে সেই সংখ্যা পৌঁছতে পারে ৬ লক্ষ ৬৫ হাজারে। তবে এর থেকে মুক্তির উপায় রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যদি ৯৫ শতাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করেন তাহলে এই সংখ্যা ৭০ হাজারে নেমে আসতে পারে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভারতে করোনা সংক্রমনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল। কিন্তু এপ্রিল থেকে আচমকা বাড়তে শুরু করে সেই সংক্রমণের হার। সংক্রমণের হার এক ধাক্কায় বেড়ে যায় ৭০ শতাংশ আর মৃত্যুর হার বেড়ে যায় ৫৫ শতাংশ। মাস্ক না পরার প্রবণতা, কভিদ বিধি না মেনে নানা জামায়াতে যোগ দেওয়া, এসব কারণকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের সংক্রমণের সংখ্যা বিচার করে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এপ্রিল পর্যন্ত রেকর্ড অনুযায়ী ভারতের ২৪ শতাংশ মানুষ করোনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। তবে ভারতের ভ্যাকসিন প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়ে আশাবাদী তাঁরা। সঠিক ভাবে টিকাকরণ চললে জুলাই মাসের শেষে কয়েক ৮৫,৬০০ মানুষের প্রাণ বেঁচে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।